Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

খাদ্যশস্য আমদানিতে ভারসাম্য রাখতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সিডিএ কেডিএ আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কৃষকের পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে খাদ্যশস্য আমদানিতে ভারসাম্য বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বন্যার কারণে জমে থাকা পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব ব্রিজ ও কালভার্ট বন্ধ আছে সেগুলো খুলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর অনানুষ্ঠানিক আলোচনাকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ছাড়াও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদের একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া দেশে খাদ্য মজুদের বিষয়ে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট সচিব এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমনভাবে খাদ্য আমদানি করবেন যেন ভারসাম্য থাকে। কৃষকের যেন কোনো অসুবিধা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাকালে কয়েকজন মন্ত্রী বলেন, দেশের অনেক ব্রিজ ও কালভার্টের কারণে বন্যার পানি দ্রুত নিষ্কাশন হচ্ছে না। এ ছাড়া ছোটখাটো অনেক নদীতে বাঁধ দেয়া হয়েছে। অনেকে কালভার্ট-ব্রিজের মুখে দেয়াল দিয়ে মাছ চাষ করছেন। অনেকে নিজের সুবিধার জন্য ব্রিজ ও কালভার্টের নিচে মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলেছেন। ফলে বন্যার পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারছে না। এতে অনেক স্থানে পানিবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
মন্ত্রীদের এমন আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যেকটি ব্রিজ ও কালভার্ট দিয়ে পানি যাতে দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারে সেই ব্যবস্থা নিতে ডিসিদের (জেলা প্রশাসক) কার্যকর পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। আলোচনাকালে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে আমন ধানের বীজ মজুদ আছে। এ ছাড়া আমনের চারাও পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। বন্যার পানি নেমে গেলে কৃষকরা আবার ধান রোপণ করতে পারবেন।
খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম মন্ত্রিপরিষদকে জানান, আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে খাদ্য ঘাটতি সর্বোচ্চ ২০ লাখ মেট্রিক টন। সভা শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এ সময়ের মধ্যে দেশের খাদ্য ঘাটতি মেটাতে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে। তিনি বলেন, সভার শুরুতে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল চাল আমদানির বিষয়ে স¤প্রতি কম্বোডিয়া সফর সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেন। এ সময় তারা জানান, আগামী পাঁচ বছর মেয়াদে সর্বোচ্চ ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য কম্বোডিয়ার সঙ্গে জিটুজি পদ্ধতিতে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, দেশে খাদ্য ঘাটতি কত? তখন খাদ্যমন্ত্রী জানান, আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে খাদ্য ঘাটতি ২০ লাখ মেট্রিক টন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তা হলে এই ২০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি খাদ্যশস্য যেন আমদানি না করা হয়। কারণ প্রয়োজনের বেশি আমদানি করলে দেশের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। চুক্তি অনুযায়ী কবে নগাদ চাল আসবে- সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ইতোমধ্যে চাল আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সিডিএ কেডিএ আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন : চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এবং খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ