Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভর্তি পরীক্ষা

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিগত দুই বছরের মতো আবারও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভর্তি পরীক্ষা সময়সূচির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। গত ৮ জুন রাবির ভর্তি পরীক্ষা উপকমিটি ২২-২৬ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের ঘোষণা দেয়। তার দুই দিন পর ১০ জুন চবির ভর্তি পরীক্ষা উপকমিটি ২২-৩০ অক্টোবর পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা একই সময়ে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গত দুই বছর ধরে রাবির ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে মিলিয়ে তারিখ ঘোষণা করছে। ফলে চবিতে রাজশাহী কিংবা উত্তরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারছেন না। ফলে চবিতে দেখা যাচ্ছে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের শিক্ষার্থীর আধিক্য। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈচিত্র্য ও বিশ্বজনীনতার বিষয়টি আর থাকছে না, থাকছে শুধু আঞ্চলিকতা। তাই চবি প্রশাসনের উচিত, রাবি ভর্তি পরীক্ষার তারিখের সঙ্গে সাংঘর্ষিক তারিখ পরিহার করে এমন তারিখ নির্ধারণ করা, যাতে সব শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।
নাদিয়া বিনতে কবির, চবি।

পাসপোর্টের দালাল
দালাল চক্র নির্মূলে কর্তৃপক্ষ নানা ব্যবস্থা নিয়েছে, এমন দাবি করলেও রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে এখনো দালালেরা সক্রিয়। পাসপোর্ট অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা সরাসরি এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা গ্রাহকদের সঠিকভাবে সেবা দেন না এবং এর ফলে গ্রাহকেরা দালাল ধরতে বাধ্য হন। দালাল চক্রের সহায়তা ছাড়া কেউই সঠিক সময়ে পাসপোর্ট পান না। দালালেরা পাসপোর্ট করতে আসা গ্রাহকদের ১৪ হাজার টাকার বিনিময়ে ৭ দিনের মধ্যে ঝামেলাবিহীনভাবে পাসপোর্ট করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেন। অনেকে তাঁদের ফাঁদে পা–ও দেন। অনেকে আবার প্রতারিতও হন। তা ছাড়া কতিপয় অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ইচ্ছা করেই অনেক দেরিতে ভেরিফিকেশন রিপোর্ট জমা দেন, যাতে করে পাসপোর্ট করতে আসা ব্যক্তিরা দালালদের সহায়তা নিতে বাধ্য হন।
মো. আজম,
ঢাকা।

টিকিট কালোবাজারি
বাংলাদেশের পরিবহনব্যবস্থার একটি বড় অংশজুড়ে ট্রেন পরিষেবার অবস্থান। ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে ট্রেনে চলাচল যেমন আরামদায়ক, তেমনি নিরাপদ। কিন্তু সরকারি এ যোগাযোগ খাতের সবচেয়ে বড় দুর্ভোগ হচ্ছে টিকিট কালোবাজারি। টিকিট কালোবাজারির কারণে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে। রেলওয়ের এ ভোগান্তি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, অগ্রিম টিকিট বিক্রয় ব্যবস্থাই পরোক্ষভাবে টিকিট কালোবাজারির মূল কারণ।
অগ্রিম টিকিট ব্যবস্থায় যেকোনো আন্তনগর ট্রেনের টিকিট দেশের সব কাউন্টার থেকে কমপক্ষে ১০ দিন আগে সংগ্রহ করা যায়। কিন্তু একজন মানুষ ১০ দিন আগেই কীভাবে ভ্রমণ পরিকল্পনা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে? একপর্যায়ে এই সুযোগ হাতিয়ে নেন একশ্রেণির অসাধু রেলওয়ে কর্মকর্তাকর্মচারী ও কালোবাজারি টিকিট ব্যবসায়ী। তাঁরা লেজুড়বৃত্তির মাধ্যমে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করে অবৈধভাবে বিক্রয় করতে তৎপর হন। সাধারণ যাত্রীরা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে কাউন্টার থেকে টিকিট না পেয়ে কালোবাজারিদের কাছ থেকে কয়েক গুণ বেশি দামে টিকিট কেনে। দেশের সব স্টেশনে ১০ দিন আগে অগ্রিম টিকিট না দিয়ে ২ থেকে ৩ দিন আগে এবং শুধু কেন্দ্রীয় রেলস্টেশনগুলোতে ১০ দিন আগে অগ্রিম টিকিট দেওয়া হলে এ দুর্ভোগ থেকে কিছুটা হলেও নিস্তার পাওয়া যাবে।
এম সবুজ মাহমুদ,
জামালপুর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন