Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর একটি যুগোপযোগী বেতন স্কেল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিয়েছেন। এখন সব কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বচ্ছন্দে চলতে পারছে। কিন্তু দুখের বিষয়, দেশের সব বিভাগের সব স্তরের চাকরিজীবীরা গেজেট অনুপাতে সিলেকশন গ্রেডসহ সুবিধাদি ভোগ করলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নার্সিং পেশায় কর্মরত কেউ আজ পর্যন্ত সুবিধাটি ভোগ করতে পারেনি। এ বিষয়ে অযথা কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। ২০১৫ সালের পে স্কেল গেজেটে চার নম্বর কলামে দ্বিতীয় প্যারায় বলা আছে, ১৪ ডিসেম্বর/২০১৫-এর আগে যারা প্রাপ্ত হয়েছে, তারা সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পাবে। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল কালক্ষেপণ করছে। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর সবার পদোন্নতির সুযোগ উন্মুক্ত করতে বলেছেন। তার পরও বেশির ভাগ পদে পদায়ন করা হয়েছে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে অথবা অপরিবর্তিত বেতনে। এ দুটি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মো. আশিকুর রহমান,
দামুড়হুদা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চুয়াডাঙ্গা।

স্থায়ী বাঁধ চাই
বরগুনার তালতলী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামে ১০ বছরেও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাই স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে পানি বাড়লেই প্লাবিত হয় গ্রামের পর গ্রাম। বছরের পর বছর এমন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এ এলাকার মানুষ।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের তাÐবে তালতলী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়ার এ বাঁধটির বেশ কিছু অংশ সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। এরপর নদীর ক্রমাগত ভাঙন বাঁধকে আরও জরাজীর্ণ করেছে। বাঁধসংলগ্ন অনেক পরিবার আজ ভিটেছাড়া। প্রতি মাসে অমাবস্যা ও পূর্ণিমার সময় নদীতে জোয়ারের পানি বাড়ে। লবণপানিতে বারবার প্লাবিত হওয়ায় জমির ফসল নষ্ট হয় প্রতিবার। সে সময় চার থেকে পাঁচ দিন ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট সবকিছু জোয়ারের পানিতে তলিয়ে থাকে। এতে বন্ধ হয়ে যায় রান্না-খাওয়া। দুর্ভোগের শেষ থাকে না এলাকাবাসীর। বর্ষা মৌসুমে মাঝেমধ্যে কিছু মেরামতের কাজ হলেও এলাকাবাসীর ভোগান্তি বিবেচনায় জরুরি ভিত্তিতে তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হোক।
জয় শংকর,
তালতলী, বরগুনা।

হজযাত্রার বিড়ম্বনা
প্রতিবছর অনেক হজযাত্রীই বিড়ম্বনার শিকার হন, প্রতারণার শিকার হন। তবে সেগুলোর তুলনায় এবার হজ যাত্রীরা একটু বেশিই সংকটে পড়েছেন। এজেন্সিগুলো যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে না কিংবা যথেষ্ট পেশাদারি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। অনেক মানুষই ইচ্ছা, আশা ও আকাঙ্ক্ষার পরিপূর্ণতা ঘটাতে হজে যেতে প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করেও হজ এজেন্সির গাফিলতির কারণে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েন। সরকারের হজবিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের উচিত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে সব হজযাত্রীই হজে পৌঁছাতে পারেন। আর যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কারণে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
মো. রিজওয়ান সরকার,
রংপুর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন