Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

প্রধানমন্ত্রী আজ গাইবান্ধা ও বগুড়ায় যাচ্ছেন

স্থায়ী ফ্লাড শেল্টার নির্মানের দাবি

| প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : দ্বিতীয় দফায় সৃষ্ট বন্যার ক্ষয়ক্ষতি সরেজমিনে দেখতে এবং বন্যার্তদের মাঝে ত্রান সামগী বিতরণ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ গাইবান্ধা ও বগুড়ায় আসছেন। সরকারি সুত্রে জানা গেছে, সফরসূচি অনুযায়ি তিনি আজ (শনিবার) হেলিকপ্টার যোগে প্রথমে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আসবেন। সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে বন্যার্তদের মাঝে ত্রান এবং ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের মাঝে আমন ধানের চারা বিতরণ করবেন। বেলা সাড়ে ১১ টায় তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুধি সমাজ ও বন্যা ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় করবেন। এরপর নামাজ ও দুপুরের খাবার খেয়ে কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে হেলিকপটার যোগে বগুড়ার সারিয়াকান্দি এলাকায় নির্মিত হেলিপ্যাডে এসে নামবেন। সারিয়াকান্দিতেও তিনি বন্যার্তদের মধ্যে ত্রান ও ক্ষতিগ্রস্ত আমন চাষীদের ধানের চারা বিতরণ করবেন। এছাড়াও স্থানীয় রাজনীতিবিদ, সুধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়ের পর বিকাল ৪টায় হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় ফিরে যাবেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরকে ঘিরে বগুড়ার বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের মধ্যে উৎসাহ ও আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগের দু’জন এমপি যথাক্রমে আব্দুল মান্নান ও আলহাজ্ব হাবিবর রহমান প্রধানমন্ত্রীর সফরকে শতভাগ সফল করার জন্য সবদিকে তদারকি করছেন। বগুড়ার সিনিয়র তথ্য অফিসার জনাব মজিবর রহমান ইনকিলাবকে জানিয়েছেন, নিখুঁত ও নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার জন্য সকল প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে।
বন্যাদুর্গত সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, পূর্ব বগুড়া বলে পরিচিত এই তিন উপজেলায় স্থায়ী নদী ভাঙন রোধের পাকাপাকি ও স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন এবং বন্যার সময় দুর্গত মানুষের জন্য স্থায়ী ফ্লাড শেল্টার নির্মানের জন্য তাঁর দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। তারা বলেছেন, যমুনা নদীর পূর্বপাড়ের নীচু জমি ও চরে বসবাসকারি মানুষের অবস্থা আর আগের মত নেই। বহুমুখি শস্যের চাষাবাদ, গরু ছাগল, হাঁস-মুরগী, ভেড়া মহিষ পালনের মাধ্যমে এই এলাকার মানুষ এখন আর্থিক ভাবে যথেষ্ট স¦নির্ভরতা অর্জন করেছে। তবে বন্যার সময় তারা অসহায় হয়ে পড়ে। নিজেদের মাল সামান ছাড়াও গৃহপালিত পশু পাখি নিয়ে তাদের চরম বেকায়দায় পড়তে হয়। কোন উঁচু স্থানে বা বাঁেধ তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁয় হলেও গবাদী পশুর থাকার স্থান ও পশু খাদ্য নিয়ে পড়তে হয় চরম বেকায়দায়। তারা বলেন, ওই এলাকায় বসবাসকারি মানুষের সংখ্যানুপাতে নির্দিষ্ট সংখ্যক স্থায়ী ফ্লাড শেল্টার নির্মান করে দিলে বন্যার কয়েকদিন মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হবেনা। ফ্লাড শেল্টার গুলোতে প্রয়োজন মাফিক ‘রাবারের নৌকা, লাইফ জ্যাকেট ও মেডিকেল ই্কুইপমেন্ট’ থাকলে বন্যা আর কোন সমস্যাই থাকবেনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ