পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রাজধানীতে কৃষিপণ্যের পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে গতকাল প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪২ টাকা। কিন্তু খুচরা বাজারে এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। তিন সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজই ছিল ৫০-৫২ টাকা কেজি। কিন্তু এখন পাইকারিতে দাম কমলেও খুচরায় কমছে না। ফলে দাম কমার সুফল পাচ্ছে না মানুষ। একই অবস্থা আমদানি করা পেঁয়াজ, দেশি এবং আমদানি করা রসুন ও আদার ক্ষেত্রেও। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যার কারণে উত্তরাঞ্চলে চাহিদা কমে যাওয়ায় এসব পণ্যের দাম কমেছে। অন্যদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পবিত্র ঈদুল আজহার কারণে মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বেশি।
শ্যামবাজারে গতকাল ভারতীয় পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ছিল ৩৪-৩৫ টাকা। তিন সপ্তাহ আগে ছিল ৪৬-৪৭ টাকা। খুচরা বাজার পলাশী ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ আকারভেদে ৬০-৬৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে চীনা আদা কেজিপ্রতি ১১০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল, তা কমে এখন ৮০-৯০ টাকায় নেমেছে। ভারতীয় আদা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০ টাকা ও মিয়ানমারের আদা ৪০-৪২ টাকা। খুচরা বাজারে এই আদার দাম ১০০ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত। শ্যামবাজারের ৫০-৬০ টাকা কেজির দেশি রসুন খুচরা বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং ৮০ টাকা কেজির চীনা রসুনের দাম ১৩০ টাকা পর্যন্ত চাইছেন বিক্রেতারা।
আমদানিকারক মো: ছাত্তার বলেন, চাহিদা কমে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে পণ্যের দাম অনেক কমে গেছে। আমদানি করে ব্যবসায়ীরা বিপুল লোকসান দিচ্ছেন। কিন্তু খুচরা বাজারে দাম না কমলে আমাদের কী করার আছে।
কারওয়ান বাজারের আড়তের বিক্রেতা আবিদ বলেন, আমাদের কাছ থেকে এক বস্তা রসুন কিনে তা বিক্রি করে খুচরা বিক্রেতারা ১ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ করেন। আমরা এখন কেজিতে ১ টাকাও মুনাফা করতে পারছি না।
রিকশাভ্যানে করে পণ্য বিক্রি করা ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারাও খুচরা দোকানের চেয়ে কম দামে পেঁয়াজ, রসুন ও আদা বিক্রি করছেন। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা করে চাইছিলেন। প্রতি কেজি ভারতীয় আদার দাম চাওয়া হয় ৮০ টাকা।
পাইকারি বাজারের চেয়ে খুচরা বাজারে দামে এত পার্থক্য কেন, জানতে চাইলে কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, আমরা ১০০ প্রাম, ২০০ গ্রাম হিসেবে পণ্য বিক্রি করি। এতে ঘাটতি হয়। ২০ কেজি কিনলে আমরা ১৮ কেজি ধরে দাম ঠিক করি। এর ফলেই পার্থক্য বেশি হয়।
শুধু মসলাজাতীয় পণ্য নয়, অন্যান্য পণ্যের দামও বড় বাজারে কম। কারওয়ান বাজারের খুচরা দোকানে এক কেজি চিনি ৫৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ছোট বাজার বা মহল্লার দোকানে তা কমপক্ষে ৬০ টাকা। এদিকে গত এক সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ১৩০-১৩৫ টাকা ও ডিমের ডজনপ্রতি দাম ১০ টাকা কমে ৯৫ টাকায় নেমেছে।
কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে বেগুন। বাজারে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০-১০০ টাকা দরে। এছাড়া সব ধরনের সবজির দাম ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা হরে বেড়েছে। শিম ১৪০ টাকা; হাইব্রিড টমেটো ১৬০ টাকা; দেশি টমেটো ১০০ টাকা; শশা ৬০ টাকা; চাল কুমড়া ৫০-৫৫ টাকা; কচুর লতি ৬০-৬৫ টাকা; পটল ৬০ টাকা; ঢেঁড়স ৬০ টাকা; ঝিঙ্গা ৬০ টাকা; চিচিঙ্গা ৫৫-৬০ টাকা; করলা ৬০ টাকা; কাকরোল ৫৫ টাকা; পেঁপে ৪০-৫০ টাকা; কচুরমুখী ৬০ টাকা; আমড়া ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা স্বর্ণা চাল প্রতি কেজি ৪২-৪৩ টাকা, পারিজা চাল ৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মিনিকেট (ভালো মানের) ৫৫ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫৩ টাকা, বিআর-২৮ ৪৮-৫০ টাকা, সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৫০ টাকা, উন্নত মানের নাজিরশাইল ৫২ টাকা, পাইজাম চাল ৪৮ টাকা, বাসমতি ৫৩ টাকা, কাটারিভোগ ৭২-৭৩ টাকা এবং পোলাও চাল (পুরাতন) ১০০ টাকা, (নতুন) ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।