Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে ইসলামী আইন মেনে মুসলিম মহিলাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের প্রবণতা বাড়ছে

| প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভারত থেকে উঠে গেছে তিন তালাক। আগামী ছয় মাস আর কোনও মুসলিম মহিলাকে তালাক দেওয়া যাবে না। ওই সময়ের মধ্যেই এই প্রথা রোধ করতে কেন্দ্র সরকারকে আইন করতে হবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে দেশটির শীর্ষ আদালত। কিন্তু, তিন তালাকই শুধু নয়, ইসলামী আইনে স্বামীর থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চাইতে পারেন মুসলিম মহিলারাও। আর এই আইনি পদ্ধতি মেনে স্বামীর থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে বেঙ্গালুরুর ইসলামী আদালতে মহিলারাই বেশি আবেদন করছেন। তিন তালাকের ঘটনা সংখ্যায় অনেক কম। স¤প্রতি বেঙ্গালুরু শহরের একটি ইসলামী আদালতের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকেই মুসলিম সমাজে বদলের স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে।
তালাক। এই শব্দটি তিনবার উচ্চারণ করে স্ত্রীকে তাক্ষণিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদ দেওয়ার রীতি মুসলিম সমাজে বহু প্রচলিত। এই তিন তালাক প্রথাকেই অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ছয়মাসের মধ্যে কেন্দ্রকে আইন করে এই প্রথা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ। এর উল্টোটাও কিন্তু সম্ভব। অর্থাৎ ইসলামী আদালতে স্বামীর কাছ থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আবেদন করতে পারেন মুসলিম মহিলারাও। এই প্রথা ‘খুলা’ নামে পরিচিত। স¤প্রতি বেঙ্গালুরুর এক ইসলামী আদালতে তরফে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ওই আদালতে ৭০টি বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের হয়েছে। স্বামীর থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে মামলা হয়েছে ৫৩টি। বস্তুত, গত বছর ওই আদালতে ১১৬টি বিবাহবিচ্ছেদের মামলা হয়েছিল। যারমধ্যে স্বামীর থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে ৮১টি মামলা করেছিলেন মুসলিম মহিলারাই। ওই ইসলামী আদালতের প্রধান কাজী মাওলানা মহম্মদ হারুন রশিদি জানিয়েছেন, স্বামীর থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে যেসব মুসলিম মহিলা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন, তাদের বয়স ২৮ থেকে ৩৫-র মধ্যে। তবে তিন তালাকের মতো খুলার ক্ষেত্রে অবশ্য স্বামীকে খোরপোশ দিতে হয় না। তিনি জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বামীর দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক, পারিবারিক চাপের কারণে বিবাহবিচ্ছেদ চাইছেন মুসলিম মহিলারা। এমনকি, কোনও কোনও ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার জন্য কিংবা স্বামীর থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি হওয়ার কারণেও বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন তারা।
তবে ইসলামী আদালতে মুসলিম মহিলারা বিবাহবিচ্ছেদে আবেদন করলেই যে সবসময় তা মঞ্জুর হয়ে যায়, এমনটা নয়। সাধারণ আদালতের মতো ইসলামি আদালতও প্রথমে স্বামী, স্ত্রী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু, তাতে যদি কোনও কাজ না হয়, তখন মুসলিম মহিলাদের বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দেওয়া হয়। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ