পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা পাকিস্তানের দালাল।
নারী সংসদ সদস্য (এমপি) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্যের অভিযোগ এনে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যুব মহিলা লীগ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
‘আজকে চিফ জাস্টিস যে পাকিস্তানপ্রেম দেখান, তা তো দেখাবেনই। কারণ, এরা পাকিস্তানি দালাল। এরা পাকিস্তানি চিন্তার সমর্থন করে, এরা পাকিস্তানি চিন্তার মানুষদের নিয়ে জোট গঠন করে। সুতরাং এদের বক্তব্যে আমরা আশ্চর্য হই না’, প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন আমু।
প্রধান বিচারপতিকে ইঙ্গিত করে আমু আরো বলেন, ‘একটা জিনিস অন্য বিচারপতিদের মনে রাখা দরকার, উনি যা চান তা হলো—ওই জুডিশিয়ারি, ওই বিচারকদের একমাত্র দেবতা। তিনি যা বলবেন, সেটাই মানতে অন্যদের হবে। সব ক্ষমতা তাঁর হাতে থাকবে, এর বাইরে কিছু থাকবে না। আজকে সেই ব্যবস্থা আমরা বিচার বিভাগে হতে দিতে পারি না। প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রের ক্ষমতা নিয়ে নিতে চায়। এইসব ফাইজলামির একটা সীমা আছে। এইসব ঔদ্ধত্য দেখানোর একটা সীমা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি পাকিস্তানের বিচারব্যবস্থার সঙ্গে তুলনা করে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে যে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন, তা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তাঁকে ভুলে গেলে হবে না, আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ক্ষমতায় আসার পর তাঁকে নানাভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে কোনো কিছুই দমিয়ে রাখতে পারে নাই। তিনি সবকিছু উপেক্ষা করে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আজকে তার ওপর কথা বলার সাহস আপনাকে কে দিল? আজকে কি উদাহরণ দিয়া ভীতি প্রদর্শন করছেন?’
‘আজকে ঘোলা পানিতে মৎস্য শিকার করবার জন্য যারা মাঠে নেমেছে, আপনি ইতোমধ্যে নিশ্চয়ই তাদের চিনতে পেরেছেন। তারা আপনার বন্ধু নয়, শত্রু।’
আমু বলেন, ‘সংসদের বিরুদ্ধে কথা বলার আগে আপনার ভাবা উচিত ছিল, এই সংসদের মধ্যেই আপনার নিয়োগ। এই সংসদের রাষ্ট্রপতিই আপনাকে নিয়োগ দিয়েছেন। আজকে সেদিকে চিন্তা রেখে ভবিষ্যতে কথা বলবেন। আগেও বলেছি, আজও বলছি, আমরা কিন্তু আজকের সাংসদ নই, আমরা সত্তর সাল থেকে সাংসদ; পাকিস্তান আমল থেকে। আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সরকার গঠন করেছিলাম। সেই সরকার ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত করেছে। এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। এই দেশের বিরুদ্ধে যে কথা বলেছেন, তা প্রত্যাখ্যান করতে হবে।’
আওয়ামী লীগের অবস্থান তুলে ধরে বিএনপি সম্পর্কে আমু বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ সরকার, শেখ হাসিনা সরকার কোনো ঠুনকো দল নয়, কোনো সামরিক জান্তার পকেট থেকে এই দলের সৃষ্টি হয়নি। আজকে অনেক দল, বিশেষ করে বিএনপি নেতারা শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করছেন। তাঁরা তো করবেনই। কারণ তাঁরা তো পাকিস্তানপ্রেমিক। বাংলাদেশে একটা কথা আছে ‘সব শিয়ালের এক রা’।’’
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। যুব মহিলা লীগের নেত্রী নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।