ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
এফডিসির প্রতিটি ইট, কাঠ, পাথর, ধুলিকণা নায়করাজ রাজ্জাকের জীবনের সাথে জড়িয়ে ছিল। এফডিসির কোনো ক্ষতি হলে তার মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হতো। এফডিসির এক নম্বর ফ্লোরের পূর্ব পাশে এক সময় একটি বিশাল আম গাছ ছিল। জায়গাটিকে বলা হতো আমতলা। ছয়-সাত বছর আগে ঝড়ে আমগাছটি মূলসহ পড়ে যায়। এ নিয়ে তখন চলচ্চিত্রের লোকজনের মধ্যে বেদনা সৃষ্টি হয়। এর কারণ হচ্ছে, সুবিশাল, ছায়াময় এই আম গাছটি ছিল অনেক ঐতিহাসিক সিনেমা এবং ঘটনার সাক্ষী। আম গাছটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন লিখতে গিয়ে নায়করাজের প্রতিক্রিয়া জানতে ফোন করেছিলাম। তিনি তখন একটি সিনেমার শূটিংয়ে ঢাকার বাইরে ছিলেন। যখন তাঁকে জানালাম, আম গাছটি ঝড়ে পড়ে গেছে। শুনেই তিনি হাহাকার করে উঠলেন। প্রথমেই মন্তব্য করলেন, একটি দক্ষ আর্টিস্ট আমরা হারালাম। একটি ইতিহাসের সমাপ্তি হলো। স্মৃতিচারণ করে বলেছিলেন, কত দিন, কত মাস, কত বছর এই আম গাছ তলায় বসেছি। তার ছায়া নিয়েছি। বসে বসে সিনেমার গল্প, চরিত্র নিয়ে ভেবেছি। গাছটি আমার ভাবনার জগৎ জুড়ে ছিল। এর নিচে কত সিনেমার শূটিং করেছি। আম গাছটি নিজেও অনেক সিনেমার আর্টিস্ট হয়েছিল। এটি পড়ে যাওয়ায় একটি অধ্যায় মুছে গেল। এফডিসির আম গাছটি নিয়ে এতটাই মায়া-মমতায় জড়িয়ে ছিলেন নায়করাজ। শুধু এই আম গাছের ভেঙ্গে পড়া নয়, এফডিসির কোথাও আঘাত লাগলে, সে আঘাত যেন তাঁর বুকে লাগত। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকা সেই আম গাছের জায়গায় নতুন আম গাছ লাগানো হয়েছে, এটি এখন বড় হয়েছে। বলা যায়, কালের ধারক হয়ে থাকা সেই আম গাছের উত্তরসূরি হয়ে নতুন কালকে ধারণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু নায়করাজ যে চলে গেলেন, তার ধারক, বাহক বা উত্তরসূরী চলচ্চিত্র জগতে কেউ হতে পারেনি, আর হতেও পারবে না।
বাংলা চলচ্চিত্রে রাজ্জাকের আবির্ভাব হয়েছিল একটি স্ফূলিঙ্গের মতো। বাংলাদেশে যখন সিনেমা বলতে উর্দু ও কলকাতার বাংলা সিনেমাকে বোঝানো হতো, তখন এ দেশে শরনার্থী হয়ে আসা এক অখ্যাত, অজ্ঞাত, জীবনসংগ্রামে অবতীর্ণ যুবককে নিয়ে জহির রায়হান বিরাট এক ঝুঁকি নিয়েছিলেন। তিনি বেহুলায় সরাসরি তাঁকে নায়ক করে ফেলেন। আসলে জহির রায়হান যুবকটির ভেতর সুপ্ত আগ্নেয়গিরি দেখেছিলেন। এ আগ্নেয়গিরিকে তিনি জাগিয়ে দিয়েছিলেন। সেই যে উদগিরণ শুরু হয়, তা ৫৩ বছর ধরে জ্বলে গত ২১ আগস্ট নিভে যায়। অথচ কে জানত, ভারতের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার শিকার হয়ে স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে নিয়ে শরণার্থী এক যুবক বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের নতুন দিগন্তের সূচনা করবে! উর্দু ও কলকাতার বাংলা সিনেমার দাপটকে স্তব্ধ করে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পথ নির্দেশক হবে! ইতিহাস সাক্ষী, আবদুর রাজ্জাক নামের এই যুবক নায়করাজ হয়ে এ কাজটি করেছেন। তার পেছনে যেসব কারিগর ছিলেন, তাদের একের পর এক উদ্যোগে রাজ্জাক হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কান্ডারি। মূলত তাকে নিয়ে জহির রায়হানের এক্সপেরিমেন্টের যে উদ্যোগ, তাই চলচ্চিত্রের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এরপর সুভাষ দত্ত, নারায়ণ ঘোষ মিতা, কামাল আহমেদ, কাজী জহির, আজিজুর রহমান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার-এসব স্টলওয়ার্ট নির্মাতা রাজ্জাককে নিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ধারা তৈরি করে ফেলেন। এ দেশে উত্তম-সুচিত্রা জুটির দাপটকে ম্লান করে দিয়ে রাজ্জাকের সাথে কবরী, শবনম, সুচন্দা, শাবানা, ববিতাদের জুটি গড়ে দর্শকদের মাতিয়ে দেন। রাজ্জাক দর্শকদের কাছে স্বপ্নের নায়কে পরিণত হন। তার হাসি, অট্টহাসি, হাঁটা, চাহনি, চুলের স্টাইল, শার্ট, প্যান্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবী, বেল্টের ডিজাইন হয়ে উঠে দর্শকের আদর্শ ও অনুকরণীয়। সিনেমার সাদা-কালো যুগে তিনি হয়ে উঠেন আইকনিক হিরো। মূলত রোমান্টিক হিরো হিসেবে রাজ্জাকের গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি হলেও তিনি নিজেকে এই বৃত্ত-বলয়ে আবদ্ধ রাখেননি। চরিত্র থেকে চরিত্রে নিজেকে পরিভ্রমণ করিয়েছেন। সমাজের প্রতিটি চরিত্রের প্রতিনিধী হয়ে পদার্য় হাজির হয়েছেন। আমরা যদি তার সিনেমার ক্রমধারা এবং চরিত্রের দিকে তাকাই, তবে দেখব এক রাজ্জাক কত শত রকমভাবে দর্শকের সামনে হাজির হয়েছেন। পর্দায় বিভিন্ন চরিত্রে রাজ্জাকের আবির্ভাব দেখে যে কেউ সহজে বুঝতে পারতেন, তিনি চরিত্র এবং অভিনয় নিয়ে কতটা চিন্তাশীল ছিলেন। প্রতিটি চরিত্রের পেছনে তার কতটা শ্রম, ভাবনা এবং নির্ধারিত চরিত্র হয়ে উঠার প্রচেষ্টা ছিল। এর ফলেই তিনি দর্শকের হৃদয়ের গভীরে পৌঁছেছিলেন। সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল, তিনি অর্থের পেছনে ছোটেননি, ছুটেছিলেন শিল্পের পেছনে। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আমি আমার জীবনের অতীত ভুলি না। এই শহরে আমি রিফিউজি হয়ে এসেছিলাম। স্ট্রাগল করেছি। না খেয়ে থেকেছি। যার জন্য পয়সার প্রতি আমার লোভ কোনো দিন আসেনি। অর্থাৎ রাজ্জাক ভাসমান থেকে শিকড় গেঁড়েছিলেন, সেখান থেকে ভিত্তি লাভ করে মহীরুহে পরিণত হয়েছিলেন, এফডিসির সেই আম গাছটির মতো।
সাংবাদিকদের সাথে রাজ্জাকের ঘনিষ্ঠতা ছিল সবচেয়ে বেশি। বলা হয়, চলচ্চিত্র সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সিনেমা নির্মাণ ও কাজের বিবরণ দেয়ার প্রচলন তিনি করেছিলেন। সিনেমা পার্টি বলতে যা বোঝায়, এর প্রবক্তা ছিলেন তিনি। তিনি এ কাজটি করেছিলেন এ কারণে যে, তিনি মনে করতেন শিল্পী ও সাংবাদিক একে অপরের ভাই এবং একসাথে পথ চলতে হবে। সাংবাদিকরাও তার সাথে সাংবাদিকতার টিপিক্যাল সম্পর্ক বাদ দিয়ে ভাই হিসেবেই মিশতেন। আমাদের প্রথিতযশা সাংবাদিক মরহুম আহমেদ জামান চৌধুরী, যিনি খোকা ভাই হিসেবে পরিচিত ছিলেন তাঁর সাথে রাজ্জাকের ছিল আত্মার সম্পর্ক। এই আহমেদ জামান চৌধুরীই রাজ্জাককে ‘নায়করাজ’ উপাধি দিয়েছিলেন। বাংলাদেশে অন্য নায়কদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপাধি দেয়া হলেও সবার মনে ‘নায়করাজ’ উপাধিটিই চিরস্থায়ী আসন লাভ করে। উপাধি দিলেই তো আর হয় না, তা ধরে রাখারও একটা ব্যাপার থাকে। উপাধিটি রাজ্জাক গ্রহণ করেছিলেন এবং নিজের ‘রাডার’ বা দিক নির্দেশক হিসেবে নিয়েছিলেন। ‘নায়করাজ’ খেতাব তার দায়িত্ববোধ ও সচেতনতা অনেক বাড়িয়ে দেয়। চলচ্চিত্রে তার কর্তব্য ও করণীয়কে কঠোর দায়বদ্ধতার মধ্যে আবদ্ধ করে। জীবনের ক্রান্তিকাল পর্যন্ত তিনি এই দায়বদ্ধতার মধ্যে ছিলেন। ফলে চলচ্চিত্রের যে কোনো দুঃসময়ে তিনি কান্ডারি হয়ে উঠতেন। দিক নির্দেশনা দিতেন। নায়ক থেকে অভিভাবকে পরিণত হতেন। যৌথ প্রযোজনার নামে আমাদের দেশে একটি চক্রের ভারতীয় সিনেমা আমদানির যে প্রক্রিয়া শুরু হয়, তার শুরু থেকেই তিনি প্রচন্ড বিরোধিতা করেন। আমার সাথে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি কঠোর মনোভাব পোষণ করেন। বলেন, আমাদের দেশের মেয়েদের নিয়ে সেখানে উলঙ্গ করা হচ্ছে, কোনো ধরনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করা হচ্ছে না, যৌথ প্রযোজনার নামে সিনেমাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। কতটা দেশাত্মবোধ আর মমতা থাকলে তিনি এরকম ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারেন, সহজেই অনুমেয়। যিনি উর্দু ও ভারতীয় বাংলা সিনেমাকে হটিয়ে এদেশে নিজস্ব সিনেমার ধারা সৃষ্টি করেছিলেন, সেই ধারা যখন অশুভ শক্তি ভাঙ্গতে চায়, তখন তিনি চুপ থাকবেন কীভাবে! তিনি চুপ থাকেননি, শেষ পর্যন্ত এর প্রতিবাদ করে গেছেন। প্রসঙ্গক্রমে একটি ঘটনার উল্লেখ করতে চাই। নায়করাজের প্রথম পরিচালিত সিনেমা অনন্ত প্রেম ( মুক্তি ১৮ মার্চ, ১৯৭৭)। রাজ্জাক-ববিতা জুটির রোমান্টিক-ট্র্যাজিক এ সিনেমাটি সে সময় তরুণ হৃদয়ে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। এ সিনেমাকে অনুসরণ করে দশ বছর পর ১৯৮৮ সালে বলিউডে আমির খান ও জুহি চাওলাকে জুটি করে ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ নির্মাণ করা হয়। এ সিনেমার মাধ্যমেই বলিউডে আমির খান ও জুহি চাওলা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যান। প্রসঙ্গটি এখানে উল্লেখ করার কারণ হচ্ছে, নায়করাজের পরিচালিত প্রথম সিনেমার অনুকরণে যখন বলিউডে সিনেমা নির্মিত হয়, তখন আমাদের দেশে যে ভারতীয় সিনেমা আমদানির প্রয়োজন নেই, তাই প্রতীয়মান ও প্রতিষ্ঠিত হয়। চলচ্চিত্রে মন্দাভাব আসতেই পারে, তার মানে এই নয়, এই মন্দাভাব কাটাতে অন্য দেশের সিনেমা আমদানি করতে হবে। দেশীয় সিনেমার প্রতি নায়করাজের মতো এমন দরদী আর কে আছে!
নায়করাজ আপাদমস্তক একজন চলচ্চিত্রের মানুষ ছিলেন। তার চিন্তা-চেতনায় সর্বক্ষণ চলচ্চিত্রই ঘুরপাক খেত। এর ভাল, মন্দ, ত্রুটি-বিচ্যুতি তাকে আলোড়িত করতো। আমাদের এমন অনেক নায়ক-নায়িকা আছেন, যারা এ বিষয়টি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না। তাদের আচরণ দেখে মনে হয়, সিনেমায় এসেছি অর্থ-বিত্ত ও যশ-খ্যাতি পেয়েছি, আর কিছু করার নেই। যে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তারা গড়ে উঠেছেন, তার ভাল-মন্দের প্রতি তাদের আগ্রহ দেখা যায় না। চলচ্চিত্রের এখন যে ক্রান্তিকাল চলছে, এ ব্যাপারে তাদের তেমন কোনো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। অথচ চলচ্চিত্রের এই দুঃসময়ের মধ্যেই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অসুস্থ শরীর নিয়ে চলচ্চিত্রের ভাল-মন্দ নিয়ে দিক নির্দেশনামূলক কথা বলে গেছেন। অর্থাৎ জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত তার মন ও মননে চলচ্চিত্র বিরাজমান ছিল। আবার চলচ্চিত্রে অবিশ্রান্ত পথ চলা তাকে সংসার থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। স্ত্রী ল²ীর কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ওর জন্যই আমি আজ নায়করাজ হতে পেরেছি। ও বলতো তুমি তোমার কাজ করো, আমি ঘর-সংসার সামলাবো। ল²ীর এই প্রশ্রয়ের কারণেই আমি আজ নায়করাজ। নায়করাজের ব্যক্তি জীবন যদি পর্যালোচনা করা যায়, তবে দেখা যাবে শূটিং থেকে ফিরলে তিনি পরিবারের কাছে একজন আদর্শ স্বামী এবং বাবা। সংসারের দায়িত্ববোধ থেকে এক চুলও বিচ্যুত হননি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এ ধারাটি বজায় রেখেছিলেন। ছেলে-মেয়েদের মানুষ করেছেন, প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অবসরে নাতি-নাতনীদের নিয়ে বেড়াতে চলে গেছেন। অসুস্থ্য অবস্থায়ও তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকার বাইরে চলে যেতেন। একজন নায়করাজ যে শুধু চলচ্চিত্রেই রাজা হয়েছিলেন তা নয়, সংসার জীবনেও তিনি রাজা ছিলেন। দেশের অগনিত ভক্ত-দর্শকের মাঝেও তিনি যুগের পর যুগ রাজা হয়েই থাকবেন।
কেউ চিরদিন বেঁচে থাকে না। তবে জীবনে বেঁচে থাকার স্বার্থকতার মধ্যেই মানুষের অস্তিত্ব টিকে থাকে। নায়করাজ রাজ্জাক এ কাজটি করে গেছেন। পৃথিবীর বুকে দাগ কেটে গেছেন। এ দাগ কখনো মুছে যাবে না। তবে আমাদের চলচ্চিত্রের মানুষদের দায়িত্ব হচ্ছে, নায়করাজ এ দেশের চলচ্চিত্রকে যেভাবে পথ দেখিয়েছেন, সে পথ অনুসরণ করে এগিয়ে যাওয়া। তাঁর নীতি, আদর্শ এবং দর্শনকে আঁকড়ে ধরে চলচ্চিত্রকে পুনরুজ্জীবিত করা। কারণ তিনিই উর্দু ও কলকাতার বাংলা সিনেমার দুর্দন্ড প্রতাপকে থামিয়ে দিয়ে আমাদের চলচ্চিত্রের বিজয় নিশান উড়িয়েছিলেন। তার এই পথ চলাকে এ সময়ের চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের ধারণ করা অবশ্য কর্তব্য। কর্তব্য রাজ্জাকের কর্মময় জীবন এবং অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখা। যদিও উচিত ছিল রাজ্জাকের জীবদ্দশায় তাঁর জীবনী নিয়ে জীবনী গ্রন্থ নিয়ে কাজ ও প্রকাশ করা কিংবা তার জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করা। এ দুটি কাজ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা করতে পারেন। এফডিসি কর্তৃপক্ষ এফডিসির অভ্যন্তরে নায়করাজ-এর নামে একটি মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে পারে। এ মিউজিয়াম নায়করাজের কর্মময় ও ব্যক্তি জীবনের উপকরণে সমৃদ্ধ হতে পারে, যা আগামী প্রজন্মের জন্য প্রেরণাদায়ক হবে। এছাড়া তারা নামে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের নামকরণ করা যেতে পারে। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্টরা বিষয়গুলো নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।