Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঢাকার চাপ কমান
দেশে উন্নয়নের ভারসাম্য আনা প্রয়োজন। রাজধানীকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির অবসান ঘটানো অত্যন্ত জরুরি। এ জন্য সরকারি সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগ যেমন জরুরি, তেমনি বেসরকারি খাতের সহযোগিতাও কাম্য। সবকিছু ঢাকায় না হলে কি জাত যাবে? মন্ত্রিপরিষদ অবকাঠামো, প্রশাসনিক প্রধান কাঠামো, শিল্পকেন্দ্র সবকিছু ঢাকায়! বিশ্বে কটা দেশে এমনটি আছে? শুধু সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সামান্য চতুর্থ শ্রেণির চাকরির পরীক্ষা দিতেও আমাদের ঢাকায় যেতে হয়। আবার মাঝে মাঝে শুনি, ঢাকায় থাকলে সামাজিক স্ট্যাটাসও নাকি বাড়ে! গ্রাম তো দূরে থাক, মফস্বল শহরেও আমরা বাস করতে চাই না।
নাগরিক সুবিধা, শিক্ষা ও চিকিৎসাব্যবস্থা ঢাকার বাইরেও উন্নত করা হোক। ঢাকা কেবল প্রশাসনিক রাজধানী হবে। সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা ঢাকার বাইরে নিয়ে যেতে হবে। আর একটিমাত্র সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি অনেকটাই বদলাতে পারে। সরকারি, বে-সরকারি চাকরি হোক, ঢাকা থেকে যে যত দূরে চাকরি করবে, তাকে তত বেশি বেতন-ভাতা দেওয়া হোক। এসব পদক্ষেপ নিলে যদি ঢাকার ওপর চাপ কমে।
মেনহাজুল ইসলাম
দিনাজপুর।

ইন্টার্নদের বেতন-ভাতা
বিবিএ সম্মান কোর্স সমাপ্তির পর শিক্ষার্থীদের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে তিন মাস ইন্টার্ন হিসেবে হাতে-কলমে কাজ শিখতে হয়। অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ইন্টার্নশিপ করে থাকেন। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ইন্টার্ন শিক্ষার্থীদের তিন মাস যাবতীয় কাজ করালেও সম্মানী বা পারিশ্রমিক দেয় না। এমনকি তারা ইন্টার্নদের যাতায়াত ভাতা পর্যন্ত দেয় না, এটা অনৈতিক ও অমানবিক।
এটা ঠিক, ব্যাংকগুলো হয়তো নিজে থেকে ইন্টার্নদের ডেকে আনছে না। কিন্তু তাঁদের দিয়ে তো ব্যাংকের কিছু কাজ হচ্ছে। ব্যাংকের রাজস্ব আয়ে তাঁদেরও তো ভূমিকা আছে। ফলে তাঁদের কেন পারিশ্রমিক দেওয়া হবে না? পেশাজীবনের শুরুতে এভাবে শোষিত হলে তাঁদের মনটা ভেঙে যায়। তবে কিছুটা পারিশ্রমিক পেলে তাঁরা আরও ভালো করার জন্য অনুপ্রাণিত হবেন।
মো. আলি আজম, ঢাকা।

ভেজালবিরোধী অভিযান
সামনে কোরবানির ঈদ, সাধারণভাবেই বোঝা যায়, কোন কোন খাদ্যে ভেজাল দেওয়া হতে পারে। মসলা যেমন মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, সেমাই, গুড় ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য সবাই কেনে এবং এগুলোতে প্রচুর পরিমাণ ভেজাল দেওয়া হয়। মরিচের গুঁড়ার সঙ্গে ইটের গুঁড়া মেশানো হয়। সাধারণত উন্নত কোম্পানিগুলো ছাড়া খোলাভাবে যেগুলো বিক্রয় করা হয়, সেগুলোতেই ভেজালের পরিমাণ বেশি হয়। যে সেমাইগুলো বাজারে বিক্রির জন্য আনা হয়, তার বেশির ভাগই অপরিষ্কার জায়গায় তৈরি করা হয়। গরু মোটাতাজাকরণেও একই অবস্থা দেখা যায়। দুই মাসের মধ্যে মোটা বানানোর জন্য বেশি পরিমাণ ইউরিয়া, ভিটামিন, যা মানবশরীরের জন্য অনুপযোগী, তা প্রয়োগ করার প্রবণতা বেড়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় অল্প সময়ে বেশি মোটা করার কারণে গরু বাজারেই হার্ট অ্যাটাকে মারা যায়।
ঈদের আগে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করলে অবশ্যই ভেজাল কমবে বলে আশা করা যায়।
সাঈদ চৌধুরী, গাজীপুর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন