পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলেরা বারবার তৌহীদি জনতাকে আশ্বস্ত করা সত্তে¡ও সরকারের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক মুরতাদ চক্র বারবার মুসলমানদের কলিজায় আঘাত হেনে চলেছে। শতকরা ৯৩ ভাগ মানুষের পবিত্র ধর্মীয় স্থান মসজিদে নজরদারি করা যেন তাদের আনন্দ দেয়। এ চক্রটি নজরদারির মতো খারাপ শব্দ, যা চোর ডাকাত সন্ত্রাসী বা সন্দেহভাজন অপরাধীকে করা হয়, এটি জুমার দিনে দেশের পবিত্র পরিচ্ছন্ন ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের ও তাদের পরম শ্রদ্ধেয় ইমাম খতিবগণকে উদ্দেশ্য করে ব্যবহার করছে। এ চক্রটি সরকারের চেয়ে আগে বেড়ে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো দেশের প্রায় ছয় লাখ মসজিদের ইবাদত, নামাজ, খুতবা, তালিম ও বয়ান নিয়ন্ত্রণের হীন চেষ্টা চালাচ্ছে। যেমনটি অতীত সমাজতান্ত্রিক ও বর্তমান ইহুদী ভাবধারার নমুনা। এমনকি খৃষ্টজগত ও হিন্দু ভারতেও মসজিদে নজরদারি বা খুতবা নিয়ন্ত্রণের রীতি চালু নেই। যেসব মুসলিম বা আরব দেশে খুতবা সরকার তৈরি করে দেয় সেখানে সেক্যুলারিজম সমাজতন্ত্র ইত্যাদির বালাই নেই। সরকারে লুকিয়ে থাকা নাস্তিক মুরতাদ বা পেটপূজারি দুষ্ট আলেম নেই। বাংলাদেশে এমন কী হয়ে গেল যে মসজিদগুলো এখন টার্গেট? কোরআন সুন্নাহ এখানে স্বাধীনভাবে বর্ণনা করা যাবে না। পুলিশের নজরদারির ভয়ে মনে আতঙ্ক নিয়ে জুমা পড়তে হবে। শান্তি স্বস্তি ও নির্ভার মনে ইবাদত বন্দেগী পর্যন্ত করা যাবে না। এ ধরনের পরিবেশ যারা তৈরি করে তারা কখনোই প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণকামী হতে পারে না। এদের আচরণে দেশে আল্লাহর গজব পড়বে। গতকাল এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ইমাম খতিব ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
পরিষদের সভাপতি শাইখুল হাদীস আল্লামা হাফেজ আবুল হাসান, মহাসচিব মুফতি ফজলুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মসজিদে আল্লাহ ও রসূল ছাড়া আর কারো নিয়ন্ত্রণ চলে না। যারা ইবাদতের সময় কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ নিরীহ মানুষকে নজরদারির ভয় দেখায় তাদের ঈমান আছে কিনা সন্দেহ। ইমাম খতিব ও আলেমগণ খুতবা ও বয়ান শিখেই এসব পদে আসীন হয়েছেন। কোন সরকারি মোল্লা বা দরবারি হুজুরের তৈরি কাগজ পড়ে শোনানো প্রকৃত আলেমের কাজ নয়। প্রধানমন্ত্রী বা সরকার জরুরি পরামর্শ বা তথ্য মুসল্লিদের জানাতে পারেন, যা সব সময়ই হয়ে এসেছে। নির্দিষ্ট তথ্য থাকলে মসজিদ থেকেও অপরাধীকে গ্রেফতার করা যায়। তাই বলে মসজিদে নজরদারি ও খুতবা নিয়ন্ত্রণ কোন ভালো কাজ নয়। এসব উস্কানিমূলক কথা বা কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ না হলে দেশের তৌহীদি জনতার অন্তরের আগুন দেশ জুড়ে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়বে। প্রধানমন্ত্রীর উচিত, দুষ্ট চক্রটির লাগাম টেনে ধরা। ধর্মপ্রাণ মানুষের সম্মানের হানি হয়, ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাত লাগে এমন কাজ যারাই করুক তাদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া। উল্লেখ্য যে, এর আগে একবার যখন এসব অপকর্ম শুরু হয়েছিল এবং দেশব্যাপী ধর্মপ্রাণ মানুষ আহত হয়েছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রীকে স্পষ্ট বলতে শোনা গিয়েছে যে, সরকার খুতবা নিয়ন্ত্রণ করতে বলেনি। কোন মসজিদে ছাপানো খুতবা প্রেরণ করা হয়নি। মসজিদের বয়ানে জঙ্গিবাদবিরোধী আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মাত্র। এখানে বাধ্য করা বা নজরদারির কোন প্রশ্নই আসে না। কিন্তু কিছু অতি উৎসাহী দুষ্ট লোক তাদের সেই পুরানো অপকর্মটি আবার শুরু করেছে। যা সরকারকে আরো বেকায়দায় ফেলার চক্রান্ত বা সাবোটাজ হওয়া বিচিত্র নয়। এদের দুষ্কর্ম দেশে আল্লাহর গজব ডেকে আনবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।