Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পেট্রোল বোমায় হতাহতদের পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিগত ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় দূর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগে হতাহতদের ছয়টি পরিবারের মাঝে ৩০ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তেজগাঁওয়ের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ওই সময় পেট্রোল বোমায় নিহত ও গুরুতর আহত এ ছয়জনের পরিবারের মাঝে সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সহায়তা প্রাপ্তরা হলেন, কুমিল্লা সদর দক্ষিণের নিহত মো. শামসুল হকের স্ত্রী মোসাম্মৎ শামসুন নাহার, কক্সবাজারের চকরিয়ার নিহত মো. ইউসুফের স্ত্রী ফরিদা বেগম, একই উপজেলার নিহত মোহাম্মদ সাইদ আহমেদের স্ত্রী সালমা বেগম, নিহত রাশিদুল ইসলামের স্ত্রী সুমি আক্তার, নিহত মো. রশিদুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ রাফি ও আব্দুল্লাহ আল সুয়াইম রাহাত।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মাসাকো ওয়াতানোবে গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে বিদায়ী সাক্ষাত করেছেন। সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য আমাদের সহায়তা অব্যাহত রাখবো। বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে একথা জানান। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের কয়েকটি মেগা প্রকল্পে ৬শ বিলিয়ন ইয়েন ঋণ সুবিধা প্রদান করছে জাপান। তিনি বলেন, জাপানের বিনিয়োগকারীগণও বাংলাদেশের প্রতি গভীরভাবে নজর রাখছেন। কারণ তারা এদেশের গৃহনির্মাণ শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী। মাসাতো ওয়াতানাবে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারেও গুরুত্ব দেন।
বিদায়ী জাপানের রাষ্ট্রদূত তার দায়িত্ব পালনকালে সবরকমের সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, তার ঢাকায় অবস্থানকাল সংক্ষিপ্ত হলেও ফলপ্রসু ছিল। রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, তার দায়িত্ব পালনকালে সব থেকে বড় সাফল্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সবসময়ই জাপানকে তার বড় বন্ধু মনে করে। তিনি বলেন, জাপানকে আমরা সবসময়ই আমাদের বড় বন্ধু বলে মনে করি। কেননা তারা সবসময়ই বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করে আসছে।
এ সময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই জাপানের বিভিন্ন সহযেগিতার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা পরবর্তীকালে জাপান সফরের পরেই বঙ্গবন্ধু সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছিল।
বাংলাদেশে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই এদেশের জনগণের বসবাস। কিভাবে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয় তাও আমরা শিখে গেছি, যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশাসন, প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বানভাসি মানুষের কষ্ট লাঘবে কাজ করে যাচ্ছে।
জাপানের সঙ্গে ব্যবসা এবং বিনিয়োগের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সরকার জাপানী বিনিয়োগকারিদের জন্য ১ হাজার একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সবরকমের নিরাপত্তাসহ জাপানের প্রকল্পগুলোকে সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা প্রদান করবে।
গত বছর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারীর ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শক্তহাতে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সমর্থ হয়েছি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল শ্রেণী পেশার নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে সরকারের সন্ত্রাস বিরোধী গণসচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগও তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ