ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
নিয়োগ নেই
সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসাসেবা প্রদানে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে। তাই ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের অধীনে গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল টেকনোলজিস্ট তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর পাস করে বের হচ্ছেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী। কিন্তু তাঁদের জন্য সরকারি-বেসরকারি পদ সৃষ্টি করা হয়নি। অপরদিকে ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট তৈরির ক্ষেত্রে সরকারি পর্যায়ে ঢাকা, রাজশাহী, বগুড়া, বরিশাল, রংপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম, ঝিনাইদহ ও সিরাজগঞ্জে মোট নয়টি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি পর্যায়ে ১০৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকেও গড়ে ছয় থেকে সাত হাজার শিক্ষার্থী পাস করে বের হচ্ছেন। ফলে গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বেকারের সমস্যা ভয়াবহ হারে বেড়ে চলেছে। এ ছাড়া প্রায় দুই হাজার শূন্য পদ থাকলেও সরকার গত নয় বছরে নিয়োগ দেয়নি। এতে শিক্ষার্থী ও বেকারদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। ২০১৩ সালে একবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও তা আইনি জটিলতায় ঝুলে আছে। এ ছাড়া বেসরকারি দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস, প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ অর্ডিন্যান্স ১৯৮২ অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসক, নার্স ও সুইপার ছাড়া অন্য কোনো স্বাস্থ্য জনবল নিয়োগদানের বাধ্যবাধকতা নেই। ফলে তারা অদক্ষ লোক দিয়ে কাজ চালাচ্ছে আর দক্ষ লোকেরা বেকার।
আশীষ শীল
চট্টগ্রাম।
মজুরি বৈষম্য
সারা দেশের চাতালে কর্মরত প্রায় সাড়ে তিন লাখ নারীশ্রমিক মজুরি–বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এসব নারীশ্রমিক দৈনিক গড়ে ১৩৬ টাকা মজুরি পেলেও পুরুষেরা পাচ্ছেন ১৮৫ টাকা। অঞ্চলভেদে পুরুষশ্রমিকের তুলনায় নারীরা ২৫-৪৫ শতাংশ কম মজুরি পাচ্ছেন। এসব চাতাল শ্রমিকের ৬০ শতাংশই নারী। ধান পরিষ্কার করা, বয়লারে তুষ দেওয়া, ধান সেদ্ধ ও শুকানোর মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে হয় নারীশ্রমিকদের। অথচ পুরুষশ্রমিকদের সমান কাজ করেও তাঁদের তুলনায় নারীশ্রমিকদের মজুরি কম।
চাতালে কাজ করে নারীরা যে মজুরি পান, তা দিয়ে ভালোভাবে বাঁচার সুযোগ নেই নারীশ্রমিকদের। সারা দিন কাজ করে মজুরি হিসেবে যা পান, তা দিয়েই পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতে হয়। এই যুগে এটা মোটেও কাম্য নয়।
যে দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী ও স্পিকার নারী, সেই দেশে নারী-পুরুষের মজুরির তফাত থাকবে কেন?
অনিকেত চৌধুরী
দিনাজপুর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।