Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাঘ ও পরিবেশ রক্ষা

| প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আমাদের দেশসহ পৃথিবীর সর্বত্র ক্রমেই বাঘের সংখ্যা কমছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ণ, বনভূমি ধ্বংস ও সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাঘের আবাসস্থলও দিন দিন কমে যাচ্ছে। বাঘ আমাদের পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক বাসস্থানের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অথচ বাঘ রক্ষায় আমরা নির্বিকার, বাঘের সুষ্ঠু বংশবিস্তারে কারও উদ্যোগ নেই।
বাঘসহ প্রকৃতিবান্ধব বিভিন্ন প্রাণীকে রক্ষার পরিবর্তে অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ণ এবং যান্ত্রিক বাহন বৃদ্ধি করে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য পৃথিবীকে বসবাসের অযোগ্য করে তোলা হচ্ছে। পরিবেশের ক্ষতি সত্তে¡ও প্রচুর পাহাড় কাটা হচ্ছে। এখনই সময় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা, যা অতি প্রয়োজন। অন্যথায় আমরা যেমন বন হারাব, তেমনি এই পৃথিবী দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। দেশ থেকে বাঘ চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বন বাঁচলে পরিবেশ বাঁচবে এবং পরিবেশ বাঁচলে আমরা বাঁচব। কাজেই আমাদের বন রক্ষা করতে হবে। এ বিষয়ে সবার সচেতনতা কাম্য।
মোহাম্মদ অংকন, ঢাকা।

গ্রামীণ সড়ক
শিক্ষা ও কৃষির আমূল পরিবর্তনসহ নানামুখী উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ফলেই আমাদের দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়ক বেয়ে ধীরে ধীরে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে চলেছে। কৃষিপ্রধান এ দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি হলো কৃষি। এ দেশের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত, যারা গ্রামে বাস করে। বিশাল এই জনগণের যাতায়াত ও কৃষিপণ্য পরিবহনে গ্রামীণ রাস্তাই প্রধান মাধ্যম। অথচ দেশের গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার ও বন্যার ফলে বেহাল অবস্থায় পতিত হয়েছে।
রাস্তা ও সেতু নির্মাণ বা সংস্কারের ২–১ বছরের মধ্যেই কোনো কোনো ক্ষেত্রে উদ্বোধনের আগেই ভেঙে যাচ্ছে। এমন চিত্র সবাইকে হতাশ করবে এটাই স্বাভাবিক। চলতি বছরের শুরু থেকেই বারবার বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে গ্রামের রাস্তাগুলো নষ্ট হয়ে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। সরকারের চেষ্টা থাকা সত্তে¡ও কিছু অসাধু ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার উদাসীনতা বা অবৈধ টাকা উপার্জনের মোহের কারণে তা হয়ে উঠছে না। এই রাস্তা ভালোভাবে নির্মাণ করা হলে তা প্রতিবছর সংস্কারের প্রয়োজন পড়ত না। এতে অর্থনৈতিক কার্যক্রমও ত্বরান্বিত হতো। আশা করি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
মো. মোশারফ হোসেন, রংপুর।

লোডশেডিং
মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদার মধ্যে অন্যতম একটি হলো বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ কাজে লাগিয়ে শিল্পকারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চলে। প্রযুক্তির এই যুগে বিদ্যুতের ব্যবহার অপরিসীম। বিদ্যুৎবিহীন জনজীবন একেবারেই অচল। গ্রামেও বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে।
কিন্তু বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়লেও গ্রামে লোডশেডিং কমছে না। একে তো গরমের দিন, তার ওপরে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং গুরুতর আকার ধারণ করেছে। গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বিদ্যুতের দেখা মেলে না। এতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কখনো কখনো মনে হয় গ্রামে যারা থাকে তারা মানুষ নয়।
মো. আবু তাহের মিয়া, রংপুর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন