Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচনী প্রতিশ্রæতির পুরোটাই বাস্তবায়ন করবো -চসিক মেয়র নাছির

| প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০১৭, ১২:৩০ এএম


চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরবাসীর সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন নির্বাচনী প্রতিশ্রæতির পুরোটাই বাস্তবায়ন করবো। নানা দিক থেকে বাধা থাকা সত্তে¡ও গত দুই বছরে নগরীতে বিলবোর্ড উচ্ছেদ করেছি, বাসা-বাড়ির দৈনন্দিন ময়লা পরিস্কারের জন্য ডোর টু ডোর সার্ভিস চালু করেছি। ধাপে ধাপে নগরীর সব কাঁচা রাস্তা কার্পেটিং করা হবে। মেয়র বলেন, নগরীর ফুটপাতগুলোতে যাতে সহজে চলাচল করা যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি, আগামী মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বর নাগাদ ফুটপাতগুলো হকারমুক্ত করা সম্ভব হবে। তিনি গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ‘নান্দনিক চট্টগ্রামের নন্দিত নাগরিক’-শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
চট্টগ্রামের ভৌগোলিক অবস্থান উল্লেখ করে মেয়র বলেন, পাহাড়, সাগর, নদী, সমুদ্র বেষ্টিত চট্টগ্রাম প্রকৃতির একটি নানন্দিক দান। চট্টগ্রামের নাগরিক হিসেবে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি এই নগরবাসীর সেবা করার ব্রত নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কাজ মূলত তিনটি। সেগুলো হলো রাস্তা-নালা সংস্কার, আলোকায়ন এবং নগর পরিচ্ছন্ন রাখা। কিন্তু সিংহভাগ নগরবাসী ভূল ধারণা পোষণ করেন। তারা ভাবেন, সিটি এলাকার সামগ্রিক দিক দেখাশুনার দায়িত্ব শুধু সিটি কর্পোরেশনের। এজন্যে সিটিতে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, পরিবহন, জলাবদ্ধতা সবকিছুই জন্যই সরাসরি সিটি কর্পোরেশনকে দায়ী করেন। বাস্তবে সবগুলো তত্ত¡াবধানের জন্যই আলাদা আলাদা সংস্থা কাজ করে।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে বর্তমানে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব কাজগুলোর জন্য অনুমতি চাইলে দিতে হয়। বিশেষ প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ঐ রাস্তা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু দোষ পড়ে সিটি কর্পোরেশনের। বহদ্দারহাট থেকে শাহ আমানত ব্রীজ পর্যন্ত সড়কের উদাহারন দিয়ে মেয়র বলেন, এই প্রকল্পটি ৪ লেনে রাস্তা উন্নীত করার কাজ ২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গত ২ মাস আগে থেকেই শুরু হয়েছে। ওয়াসার খোঁড়াখুড়ির কারণে নগরবাসীর ভোগান্তি হচ্ছে। এজন্যও অনেকে কর্পোরেশনকে দোষারোপ করছে।
নগরীর যানজট নিরসন করা সরাসরি সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন, এরপরও আমরা এটি গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। সিটি এলাকায় গণপরিবহনের ক্ষেত্রে অটোমেশনে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নানা কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না। যানজটের কারণসমূহ পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে গণপরিবহনগুলো অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের মাধ্যমে যাত্রী উঠা-নামা করে। এতে করে রাস্তায় অহেতুক যানজট তৈরি হয়। পুলিশ প্রশাসনের সাথে এ ব্যাপারে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে যে যাত্রী ছাউনিগুলো রয়েছে সেগুলো যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে যাত্রী ছাউনিগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। সে লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন ছাউনি গড়ে তোলা হচ্ছে যাতে করে শুধুমাত্র ঐ ছাউনিতেই গণপরিবহনগুলো যাত্রা বিরতি করতে পারবে।
মেয়র বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত নগরবাসীর জন্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। নগরবাসীর প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না হওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সেবামূলক কাজ হচ্ছে একটা টীম ওয়ার্ক। এ কাজে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি নাগরিকদেরও একটি বড় দায়িত্ব রয়েছে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নের ক্ষেত্রে।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ারের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও রূপালি ব্যাংকের পরিচালক আবু সুফয়িান, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিং কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী আবুল মনসুর, যুগ্ম¥ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ