পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্পেনের বার্সেলোনা শহরেরর একটি ব্যস্ততম পর্যটক এলাকায় পথচারীদের ওপর একটি পিকআপ ভ্যান উঠিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় গতকাল বিকেলে শহরের রাম্বলাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিভিন্ন খবরে একটি রেস্তরাঁয় দু’জন বন্দুকধারী বহু মানুষকে জিম্মি করেছে বলে জানানো হয়। টুইটারে এ ঘটনাকে পুলিশ ‘সন্ত্রাসী হামলা’ ও ‘বড় সংঘর্ষ’ বলে আখ্যা দিয়েছে। স্থানীয় জরুরি সেবা বিভাগ ঘটনাস্থল থেকে লোকজনকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। স্যাডেনা সার নামে স্থানীয় একটি রেডিও এবং ডেইলি মেইল জানিয়েছে, এ ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছে। তবে বিবিসি, সিএনএন স্থানীয় গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে ১৩ জনের নিহত খবর নিশ্চিত করেছে। ঘটনার পরপরই জরুরী বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। জনগণকে পিষ্ট করে পালিয়ে যাবার সময় ভ্যানের ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয় বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে কর্মরত জরুরী বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন। পুলিশ স্থানীয় তুর্কি রেস্তরাঁয় জিম্মিকারী দুই বন্দুকধারীর সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। ডেইলি মেইল ভ্যান চালকের ছবি প্রকাশ করে তাকে দ্রিস ঔকাবির বলে উল্লেখ করেছে।
স্থানীয় স¤প্রচার মাধ্যম আরটিভিইতে প্রচারিত দৃশ্যে দেখা গেছে, রাস্তায় তিনজন মানুষ নিস্তেজ পড়ে রয়েছে। পুলিশ তাদের সরিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া ঘটনাস্থলের আরেকটি ভিডিওত রাস্তায় কমপক্ষে পাঁচজনকে নিস্তেজ পড়ে থাকতে দেখা গেছে, যাদের পা ও মাথা রক্তাক্ত ছিল। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো নিহতের সংখ্যা দুজনের কথা জানালেও এ ব্যাপারে পুলিশের কাছ থেকে কোনো সুনিশ্চিত তথ্য জানা যায়নি।
আমির আনওয়ার নামে এক পথচারী স্কাই নিউজকে জানিয়েছেন, বিকেলে রাস্তায় বিপুল সংখ্যক পর্যটক ছিলেন। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে আমি সংঘর্ষের আওয়াজ পেলাম এবং পুরো সড়কের লোকজন চিৎকারে করে দৌড়াতে শুরু করলো। আমি আমার পাশে এক নারীকে তার সন্তানের জন্য চিৎকার করতে দেখেছি।’
এল পাইস নামে একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হামলার পরপর গাড়িটির চালক পায়ে হেঁটে পালিয়ে গেছে। এছাড়া হামলার পর দুজন সশস্ত্র ব্যক্তি একটি রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করেছিল। এদের সঙ্গে হামলার ঘটনার সম্পৃক্ততা আছে কি না তা জানা যায়নি।
২২ বছরের লিয়াম সিয়ার্ল বিবিসি রেডিওকে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, আমি খুব কাছে ছিলাম। মাত্র দশ ফুট দূরে ঘটনাটি ঘটে। এক পর্যায়ে আমার নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়। কারণ আমি রামবøাস অ্যাভিনিউয়ে ছিলাম না। আমি ছিলাম রাস্তায়। ফলে দৌড়ে একটি অপেরা হাউসে প্রবেশ করি। অনেকেই সেখানে প্রবেশ করে।
লিয়াম আরও বলেন, বিভিন্ন কিছুর আড়ালে সবাই নিজেকে লুকিয়ে রাখছিল। কী ঘটছিল তা কেউ বুঝতে পারছিলাম না। আমরা শুধু একটি জোরালো শব্দ শুনতে চাই। এরপর সবাই ছুটতে থাকে।
২০ বছরের একজন শিক্ষার্থী মার্ক এসপার্সিয়া। তিনি জানান, বেশ জোরে একটি শব্দ শোনা যায়। এরপর মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটতে শুরু করেন। অনেক মানুষ, অনেক পরিবার উপস্থিত ছিলেন। এটি বার্সেলোনার অন্যতম পর্যটন এলাকা। আমার কাছে মনে হচ্ছে, অনেকেই আহত হয়েছেন।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রিচার্ডস ছুটি কাটাচ্ছিলেন। তিনি জানান, মানুষের আতঙ্কিত ছোটাছুটি দেখে কিছু একটা ঘটছে বলে বুঝতে পারেন। তিনি বলেন, আমি এক ব্যক্তিকে শুয়ে থাকতে দেখি। আরেক ব্যক্তিকে নড়াচড়াহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। ঘটনাটি ছিল ভয়াবহ ও আতঙ্কের।
টম গুয়েলার নামক ব্যক্তি জানান, ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালাতে বাধ্য হন তিনি। চিৎকার ও বিকট শব্দে ভ্যানটিকে আঘাত করতে দেখি। ভ্যানটি এগিয়ে যাচ্ছিল আর মানুষ লুটিয়ে পড়ছিল। তখনি মনে হচ্ছিল এটি সন্ত্রাসী হামলা। ভ্যানটির বিষয়ে টম বলেন, ভ্যানটির গতি কমছিল না। সোজা ভিড়ের মধ্য দিয়ে তা এগিয়ে যাচ্ছিল। সূত্র : বিবিসি, সিএনএন, ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।