পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুনাখুনীর জনপদ নরসিংদীতে আবারো হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে। গত ১০ ঘন্টা সময়ের ব্যবধানে ৩ উপজেলায় ৩টি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। সবচেয়ে হৃদয় বিদারক হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে বেলাব উপজেলার দড়িকান্দী গ্রামে একদল ছিনতাইকারীর হাতে। ছিনতাইকারীরা নরসিংদী প্লানভিউ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আল-আমিনকে হত্যা করে তার মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করে। গত বুধবার রাত সাড়ে ১০ টায় এই হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে।
জানা গেছে, ইঞ্জিনিয়ার আল-আমিন তার মামা ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলামের নরসিংদীস্থ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করতো। প্রায় প্রতিদিনই সে রাতে অফিসের কাজ শেষ করে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ী যেতো। গত বুধবার রাতে সে অফিসের কাজ শেষ করে তার নিজের এপাচি মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। রাত সাড়ে ১০ টায় ইঞ্জিনিয়ার আল আমিন বেলাব উপজেলার দড়িকান্দী গ্রামে পৌছলে একদল ছিনতাইকারী তার গতিরোধ করে। পরে তারা আল আমিনকে ধরে নিকটবর্তী পটক্ষেতে নিয়ে হাত পা বেধে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এরপর তারা আল আমিনের এপাচি মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যায়। হত্যাকান্ডের পর ছিনতাইকারীরা আল আমিনের মোবাইল থেকে তার মামা ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলামের মোবাইল ফোন নাম্বারে ফোন করে। এসময় মামা জহির তাকে জিজ্ঞাস করে আল আমিন কোথায়। ছিনতাইকারীরা প্রত্যুত্তর দেয় আমিন এখন পাটক্ষেতে। এ কথা বলে ছিনতাইকারীরা মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেয়। ১ ঘন্টা পর দ্বিতীয় হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ী এলাকায়। এখানে দুর্বৃত্তরা সুজন সাহা (৪০) বছর বয়সী এক ব্যাক্তিকে তার স্ত্রীর সামনে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
জানা গেছে, নরসিংদী সদর উপজেলার রাজাদী গ্রামের কাশিনাথ সাহা তার মেয়ের জামাই সুজন সাহা ও তার কন্যা অদিতি সাহাকে বাড়ীতে বেড়িয়ে যাওয়ার জন্য দাওয়াত করে। শ্বশুর দাওয়াত পেয়ে গত বুধবার সুজন তার স্ত্রী অদিতিকে নিয়ে ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে নরসিংদী রেলস্টেশনে এসে নামে। সেখান থেকে রিক্সাযোগে রাজাদীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে চিনিশপুর কালিবাড়ী এলাকায় পৌছলে দুস্কৃতকারীরা তার রিক্সার গতিরোধ করে। পরে তারা অদিতিকে রিক্সা থেকে ফেলে দিয়ে সুজন সাহাকে এলোপাতারি কোপাতে থাকে।
এসময় অদিতি চিকিৎকার করতে থাকলে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত সুজন সাহাকে দ্রæত নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এর আগে একই দিন বেলা ২ টায় মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়া বাঘেরহাট বাজারে চুলকাটার কেচি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাতে হত্যা করা হয় মফিজ উদ্দিন (৬০) নামে এক চা দোকানীকে। জানা যায়, হত্যাকারী সাইফুল একই সময় থার্মেক্স গ্রæপের মহিলা শ্রমিকরা মিল থেকে বাড়ী যাবার সময় পথিমধ্যে সাইফুল তাদেরকে উত্যেক্ত করে। এসময় চা দোকানদার মফিজ উদ্দিন তাকে বাধা দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সে পার্শ্ববতী সেলুন থেকে জোরপূর্বক চুলকাটার কেচি এনে বৃদ্ধ মফিজ উদ্দিনের গলা ও পেটে আঘাত করে। এর তিন দিন আগে রোববার শহরের পশ্চিমকান্দাপাড়া মহল্লার শান্তি সাহা নামে এক কাঁচামাল ব্যবসায়ীকে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দী করে বাদুয়ারচর রেললাইনের পাশে ফেলে রাখে গুপ্ত ঘাতকরা। এব্যাপারে নরসিংদী পুলিশ সুপার আমেনা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমরা বিষয়টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। তদন্ত চলছে। প্রতিটি হত্যাকান্ডের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ খুনীদেরকে খুজে বের করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।