Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাঘ ও পরিবেশ রক্ষা
আমাদের দেশসহ পৃথিবীর সর্বত্র ক্রমেই বাঘের সংখ্যা কমছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ণ, বনভূমি ধ্বংস ও সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাঘের আবাসস্থলও দিন দিন কমে যাচ্ছে।
বাঘ আমাদের পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক বাসস্থানের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অথচ বাঘ রক্ষায় আমরা নির্বিকার, বাঘের সুষ্ঠু বংশবিস্তারে কারও উদ্যোগ নেই।
বাঘসহ প্রকৃতিবান্ধব বিভিন্ন প্রাণীকে রক্ষার পরিবর্তে অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ণ এবং যান্ত্রিক বাহন বৃদ্ধি করে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য পৃথিবীকে বসবাসের অযোগ্য করে তোলা হচ্ছে। পরিবেশের ক্ষতি সত্তে¡ও প্রচুর পাহাড় কাটা হচ্ছে। এখনই সময় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা, যা অতি প্রয়োজন। অন্যথায় আমরা যেমন বন হারাব, তেমনি এই পৃথিবী দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। দেশ থেকে বাঘ চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বন বাঁচলে পরিবেশ বাঁচবে এবং পরিবেশ বাঁচলে আমরা বাঁচব। কাজেই আমাদের বন রক্ষা করতে হবে। এ বিষয়ে সবার সচেতনতা কাম্য।
মোহাম্মদ অংকন, ঢাকা।

 

লোডশেডিং
মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদার মধ্যে অন্যতম একটি হলো বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ কাজে লাগিয়ে শিল্পকারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চলে। প্রযুক্তির এই যুগে বিদ্যুতের ব্যবহার অপরিসীম। বিদ্যুৎবিহীন জনজীবন একেবারেই অচল। গ্রামেও বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে।
কিন্তু বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়লেও গ্রামে লোডশেডিং কমছে না। একে তো গরমের দিন, তার ওপরে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং গুরুতর আকার ধারণ করেছে। গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বিদ্যুতের দেখা মেলে না। এতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কখনো কখনো মনে হয় গ্রামে যারা থাকে তারা মানুষ নয়।
মো. আবু তাহের মিয়া, রংপুর।

 

নারীর মজুরিবৈষম্য
সারা দেশের চাতালে কর্মরত প্রায় সাড়ে তিন লাখ নারীশ্রমিক মজুরিবৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এসব নারীশ্রমিক দৈনিক গড়ে ১৩৬ টাকা মজুরি পেলেও পুরুষেরা পাচ্ছেন ১৮৫ টাকা। অঞ্চলভেদে পুরুষ শ্রমিকের তুলনায় নারীরা ২৫-৪৫ শতাংশ কম মজুরি পাচ্ছেন। এসব চাতাল শ্রমিকের ৬০ শতাংশই নারী। ধান পরিষ্কার করা, বয়লারে তুষ দেওয়া, ধান সেদ্ধ ও শুকানোর মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে হয় নারীশ্রমিকদের। অথচ পুরুষশ্রমিকদের সমান কাজ করেও তাঁদের তুলনায় নারীশ্রমিকদের মজুরি কম।
চাতালে কাজ করে নারীরা যে মজুরি পান, তা দিয়ে ভালোভাবে বাঁচার সুযোগ নেই নারীশ্রমিকদের। সারা দিন কাজ করে মজুরি হিসেবে যা পান, তা দিয়েই পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতে হয়। এই যুগে এটা মোটেও কাম্য নয়।
যে দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী ও স্পিকার নারী, সেই দেশে নারী-পুরুষের মজুরির তফাত থাকবে কেন?
অনিকেত চৌধুরী, দিনাজপুর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন