Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দীর্ঘতম সময়ের স¤প্রসারণে জাপানের অর্থনীতি

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে জাপানের জিডিপি ১ শতাংশ বেড়েছে

| প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : গৃহস্থালি ও করপোরেট ব্যয় বৃদ্ধির সুবাদে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে জাপানের জিডিপি ১ শতাংশ বেড়েছে। এ নিয়ে টানা ছয় প্রান্তিক ধরে জাপানের অর্থনীতি স¤প্রসারণের মধ্যে রয়েছে। বলা হচ্ছে, ২০০৬ সালের পর এটিই জাপানে দীর্ঘতম সময়ের অর্থনৈতিক স¤প্রসারণ। প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই প্রণোদনা কর্মসূচির মাধ্যমে অর্থনীতি চাঙ্গার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে ‘আবেনমিকস’ নামের এ প্রণোদনা কর্মসূচিতে দেশের রফতানিকারকরাই সবচেয়ে সুবিধা পেয়েছেন। স্থানীয়দের আয় বা ব্যয় সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তা খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। ফলে এত দিন আবেনমিকসের সুবিধাভোগী রফতানিকারক ও টোকিও ২০২০ অলিম্পিক ঘিরে সম্পন্ন হওয়া বিনিয়োগই ছিল বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির চালিকাশক্তি। তবে সা¤প্রতিক তথ্যে দেখা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে রফতানির চেয়ে অভ্যন্তরীণ ব্যয়ই জাপানের অর্থনীতিকে এগিয়ে রেখেছে। রমরমা অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও মূলধনী ব্যয়ের কারণে এ সময় জিডিপি অনেকটাই বেড়েছে। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে জাপানের জিডিপি বার্ষিক ৪ শতাংশ হারে বেড়েছে। প্রাথমিক হিসাবনিকাশ শেষে জাপানের ক্যাবিনেট অফিস থেকে গতকাল জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে জাপানে ভোক্তাব্যয় বেড়েছে দশমিক ৯ শতাংশ; মধ্যবর্তীকালীন হিসাবে ভোগব্যয়ে দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হিসাব করা হয়েছিল। ভোক্তাব্যয় বৃদ্ধির এ গতি গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানা গেছে। এপ্রিল-জুন সময়ের মধ্যে ক্রেতাদের টেকসই পণ্যের দিকে আগ্রহ ছিল বেশি। প্রসঙ্গত, জাপানের জিডিপিতে ব্যক্তিগত ভোগব্যয়ের অবদান অর্ধেকেরও বেশি। ফলে ভোক্তাব্যয় বৃদ্ধির সুবাদে আশা করা যাচ্ছে, দেশটির অর্থনীতির আউটলুকে ভোক্তাব্যয় আর দুর্বল অবস্থানে থাকছে না। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভোক্তাব্যয়ের পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগও বেড়েছে। আগের প্রান্তিকের তুলনায় এপ্রিল-জুনে এসব কোম্পানির মূলধনী ব্যয় বেড়েছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। যেখানে ১ দশমিক ২ শতাংশ মূলধনী ব্যয় বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। ২০১৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের পর ব্যবসায় বিনিয়োগে এটি সবচেয়ে দ্রæততম প্রবৃদ্ধি। এদিকে আসছে প্রান্তিকগুলোয়ও অর্থনীতির এ স¤প্রসারণ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আঁটসাঁট অবস্থায় থাকা শ্রমবাজার ভোক্তাব্যয় আরো বৃদ্ধি করবে বলে আশা করছে ব্যাংক অব জাপান (বিওকে)। ব্যাংকটির ধারণা, এতে দেশ মূল্যসংকোচনের পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে পারবে। যদিও কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগ্রাসীভাবে মুদ্রানীতি শিথিলের পরেও দেশে পণ্যদ্রব্যের দাম বাড়েনি। মূল্যস্ফীতি না বৃদ্ধি পেলেও অর্থনীতির সা¤প্রতিক চিত্র জনপ্রিয়তার দিক থেকে চাপে থাকা প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের জন্য অবশ্যই ভালো খবর। আবেনমিকস নামের প্রণোদনার সুবাদে অর্থনীতি চাঙ্গা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১২ সালে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। ব্যাপক হারে মুদ্রানীতি শিথিল ও অর্থনীতি সংস্কার, করপোরেট খাতের মুনাফা বৃদ্ধি, শেয়ারবাজার চাঙ্গা করা ছিল আবেনমিকসের মূল লক্ষ্য। দাই-ইচি লাইফ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ এ প্রসঙ্গে বলেন, সত্যিকার অর্থেই এটি ভালো ফল। ভোক্তাব্যয় ও করপোরেট বিনিয়োগ অনেক শক্তিশালী অবস্থায় পৌঁছে গেছে। আশা করা হচ্ছে, এর সুবাদে করপোরেট আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবসায় আস্থাও বাড়বে। এএফপি, নিউইয়র্ক টাইমস, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাপান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ