পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক ন্যায়বিচারকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে নয়পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি দলীয় এমপি’দের দ্বারা নির্বাচিত হলেও নির্বাচিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি প্রতিষ্ঠানটি একটা স্বতন্ত্র মর্যাদা লাভ করে এবং তিনি তখন রাষ্ট্রের অভিভাবকে পরিণত হন, আওয়ামী লীগের নন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বৈঠক হতেই পারে, কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক কিভাবে সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন ?
রিজভী বলেন, প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে আমরাই শুধু উদ্বিগ্ন নই, এ বৈঠক ন্যায়বিচারকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা কি না এটা নিয়ে মানুষের মধ্যে সন্দেহ সংশয় দেখা দিয়েছে।
রিজভী বলেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় পরিবর্তনের জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অলিম্পিক প্রতিযোগিতার ন্যায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। রায় পরিবর্তনের জন্য আওয়ামী লীগ যেভাবে উঠেপড়ে লেগেছে এটা বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপের সামিল।
রিজভী বলেন, রায়ে পরিবর্তন আনতে চাপ দেয়া হচ্ছে বলে জনগণের মনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। এটি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর নির্বাহী বিভাগের নগ্ন হস্তক্ষেপ। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর আওয়ামী লীগের নেতারা যেভাবে বিচারপতিদের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন, আবার বৈঠক করছেন, এটাকে দেশবাসী স্বাভাবিক ঘটনা বলে মনে করেন না। তারা বিচার ভিাগকে বিতর্কিত করতে নিজেদের ঘুম হারাম করে ফেলেছেন। এটি শুভ লক্ষণ নয়।
তিনি বলেন, বন্যায় ভাসছে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল। ভারত থেকে নেমে আসা উজানের পানিতে ডুবে যাচ্ছে একের পর এক এলাকা। বানের পানিতে হাজার হাজার নারী শিশু ও সাধারণ মানুষ ডুবে যাচ্ছে, লাখ লাখ মানুষ গৃহহারা, আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নেই, খাবার নেই, আবার কোথাও কোথাও আশ্রয়ও ডুবে যাচ্ছে, অনেক মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে অথচ আওয়ামী লীগের নেতারা বন্যাদুর্গতদের পাশে না দাঁড়িয়ে গণভবন-বঙ্গভবনে দৌড়ঝাঁপ করছেন।
রিজভী বলেন, গতকাল ত্রাণমন্ত্রী বলেছেন, দেশে খাদ্যের কোন অভাব নেই। অথচ সরকারের খাদ্যের গোডাউন শূন্য। বানভাসীরা না পাচ্ছে আশ্রয়, না পাচ্ছে ত্রাণ। চারিদিকে খাদ্য ও আশ্রয়ের অভাবে বানভাসীরা হাহাকার করছে। দেশের অধিকাংশ জেলা বন্যায় ডুবছে আর আওয়ামী নেতারা সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে অশ্রাব্য ধারাবর্ষণ করছেন। পানিবন্দী লাখ লাখ অসহায় মানুষের সঙ্গে যেন আওয়ামী লীগ উপহাস করছে।
রিজভী বলেন, আমি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় নেতা-কর্মীসহ দেশের সকল বিত্তবানদের বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহবান জানাচ্ছি। আপনারা ডুবন্ত অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ান, তাদেরকে বাঁচান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।