পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিশরের ব্যবসা ও বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রী
কায়রো, মিশর থেকে ইউ.এইচ. খান : প্রাচীন সভ্যতা ও পিরামিডের দেশ মিশরে বাংলাদেশীদের জন্য তৈরি পোষাক, প্রসাধনী, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, শিক্ষাসহ অনেক ক্ষাতে অপার সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। এতদিন বিদেশি বিনিয়োগকারী মিশরে বিনিয়োগ প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার জন্য হতাশ ছিল। তবে এর মাঝেই কিছু বাংলাদেশী মিশরের তৈরি পোশাক খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গত রোববার মিশরের ব্যবসা ও বিনিয়োগ বিষয়কমন্ত্রী তারিক কাবিল কায়রোতে তার নিজ অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের নতুন কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা দেন। এতে বিদেশী ব্যবসায়ীদের জন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিস, বিশেষ আইনগত সেবা, ভিসা কোঠা বৃদ্ধি, ট্যাক্স মওকুফসহ বেশ কিছু ব্যবসায়ী বান্ধব ঘোষণা দেন। প্রশ্নত্তোর পর্বে বাংলাদেশী সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ‘বাংলাদেশীদের দক্ষতা সম্পর্কে আমি অবগত এবং কোন বাংলাদেশী যদি মিসরে ব্যবসা স¤প্রসারণ করতে হয়রানীর শিকার হয় তবে সরাসরি আমাকে জানাবেন, আমি ব্যবস্থা নিব। বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের মিসরে স্বাগতম’। মিসর মূলত আমদানী নির্ভর শিল্পের দেশ। বাংলাদেশের সাথে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক বিষয়ে সরকারী ভাবে তৎপর হলে অনেক উন্নতি করা সম্ভব। মিসরের অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান পাটজাত কাচামালের উপর নির্ভরশীল। অতীতে বাংলাদেশই ছিল বড় যোগানদাতা। তবে স¤প্রতি বছর গুলোতে বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজনীয় তদারকির অভাবে পাট ব্যবসা এখন ভারত, ভারত, পাকিস্তান, কেনিয়া, তানজানিয়ার মত দেশের হাতে চলে যাচ্ছে। এছাড়া প্রসাধন সামগ্রী, ঔষধ ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্যের বড় বাজার হতে পারে মিসর। নতুন ঘোষিত নীতি বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করবে। অন্যদিকে আঙ্গুর, কমলা, মাল্টা, পেয়াজসহ অনেক বাংলাদেশের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য চীন ও ভারতের থেকেও উন্নত মানের এবং কম দামে আমদানী করা সম্ভব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।