পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্মের অপব্যাখ্যা করে কেউ যাতে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সকলকে সজাগ থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
সোমবার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান কথা বলেন।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের মানুষ মিলেই বাঙালি জাতি। তাই ধর্মের দোহাই দিয়ে কোনো অশুভ শক্তি যাতে নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। সব ধর্মের মূল বাণী মানব-কল্যাণ। তাই ধর্মের অপব্যাখ্যা করে কেউ যাতে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল দর্শন। অধর্ম ও দুর্জনের বিনাশ এবং ধর্ম ও সুজনের রক্ষায় শ্রীকৃষ্ণ যুগে যুগে আবির্ভূত হয়েছেন আপন মহিমায়।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ও নেপালের রাষ্ট্রদূত চপ লাল ভূষাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এছাড়া হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।