পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অগ্নিকান্ডের ঘটনার কারণ এখন পর্যন্ত কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। এ ঘটনায় গঠিত পৃথক তদন্ত কমিটি তাদের কাজ শুরু করেছে। তবে আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ তারা জানাতে পারেননি। গতকাল বিমানবন্দরের পরিবেশ স্বাভাবিক ছিল। যথারীতি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট আসা যাওয়া করছে। তবে তৃতীয়তলার কয়েকটি অফিস বন্ধ রয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া অফিসের সব কিছু পুড়ে গেছে বলে বিমানবন্দরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এঘটনার কারণে গতকাল থেকে আবারো বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দরে কীভাবে আগুন লেগেছে তা খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। তিন কর্মদিবসে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে সংস্থার জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানিয়েছেন।
এ তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন, সিভিল এভিয়েশনের পরিচালক সাইফুল ইসলাম। তার নেতৃত্বাধীন ওই কমিটিতে আরো রয়েছেন, সংস্থার সহকারী পরিচালক আবু সালেহ মো. খালেদ (অগ্নি),নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার মোর্শেদ,ডিজিএফআইয়ের প্রতিনিধি ইউং কমান্ডার হাবিবুর রহমান ও এনএসআইয়ের প্রতিনিধি ননী গোপাল। ফায়ার সার্ভিস এ ঘটনায় আলাদা তদন্ত কমিটি করেছে। উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধনকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের এই কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির প্রধান করা হয়েছে ঢাকা বিভাগ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) দেবাশীষ বর্ধনকে।তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেননি দেবাশীষ বর্ধন। তিনি জানিয়েছেন, কি কারণে আগুন লেগেছে তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। বিমানবন্দরের মূল ভবনের তৃতীয় তলায় এয়ার ইন্ডিয়ার অফিস কক্ষে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা।
গত শুক্রবার প্রায় দেড়টার দিকে বিমানবন্দরের তৃতীয় তলা অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বিকাল ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও বিমানবন্দরে কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে আরও দেড় ঘণ্টা পেরিয়ে যায়। আগুন লাগার পর ধোঁয়ায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে গেলে বিভিন্ন ফ্লোরের অধিকাংশ কর্মী এবং ভেতরে চেক ইন ও ইমিগ্রেশনে থাকা যাত্রীদের বাইরে বের করে আনা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে বিমানবন্দরের প্রধান বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় বহির্গমন ফটক।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, ওই দিনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুট মিলিয়ে মোট সাতটি ফ্লাইট অগ্নিকান্ডের কারণে বিলম্বিত হয়েছে। তিনি বলেন,অন্যান্য এয়ারলাইন্সের কথা জানি না, বাংলাদেশ বিমানের সাতটি ফ্লাইট বিলম্বিত রয়েছে। টার্মিনাল যখন বন্ধ ছিল, প্যাসেঞ্জার ঢুকতে পারেনি, সিকিউরিটি চেক করতে পারেনি, যাত্রীরা বোর্ডিং কার্ড নিতে পারেননি। পরে যখন (পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে) একটা চাপ এসেছে, তখন সিস্টেম ওভারলোডেড হয়ে গেছে।
অন্যান্য এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা একই ধরনের কথা জানালেও একে সূচি বিপর্যয় বলে মানতে রাজি নন শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক কাজী ইকবাল করিম। তিনি বলেন,আগুনের ঘটনার জন্য কোনো ফ্লাইট ডিজরাপশন হয়নি। সৌভাগ্যক্রমে এটা এমন একটা সময়ে হয়েছে যে সমস্যা হয়নি। তবে প্যাসেঞ্জারদের টার্মিনালে আসতে কিছু সময় বেশি লেগেছে। যেহেতু সেখানে ধোঁয়া ছিল, তাদের কিছুটা ডিসকমফোর্ট হয়েছে। অ্যারাইভালের ক্ষেত্রে কাউকে কাউকে বিমানে অপেক্ষা করতে হয়েছে।
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিভাগের একজন কর্মী জানান, বিমানবন্দরের মূল ভবনের তৃতীয় তলায় যে অংশে আগুন লেগেছে, সেখানে এয়ার ইন্ডিয়া, বিমান, সৌদিয়াসহ কয়েকটি বিমান পরিবহন সংস্থার কার্যালয় রয়েছে। বিমানের স্টেশন অফিসারও ওই ফ্লোরে বসেন। এছাড়া রয়েছে বিমানবন্দরের স্কাই লাউঞ্জ। ওই ফ্লোরের একটি বিমান পরিবহন সংস্থার বিপণন কর্মকর্তা জানান, বেলা দেড়টার দিকে ফায়ার অ্যালার্ম শুনে বেরিয়ে এসে তিনি দেখতে পান, তৃতীয় তলা ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে। বিমানবন্দরের অটো ফায়ার ডিটেকটরের ডিসপ্লেতে তখন লেখা দেখাচ্ছিল- ‘ফায়ার অন এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লোর’। চারদিক ধোঁয়ায় ছেয়ে গেলে যাত্রী আর কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা সবাইকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বলে ওই ফ্লোরের একজন কর্মচারী জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।