পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719398868](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : গরুর গোশত ইস্যুতে ভারত জুড়ে যখন তুলকালাম চলছে, তখনই মহারাষ্ট্র সরকার এক পুরনো আইন ফেরানোর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। বাড়িতে গরুর গোশত রয়েছে কি না, বা কেউ গরুর গোশত বহন করছেন কি না জানতে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালানোর অনুমতি চাইল দেবেন্দ্র ফড়ণবিস সরকার।
গরুর গোশত নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তাল হয়ে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের একাধিক রাজ্য। দেশের সদ্য বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্টও এরকম সংবেদনশীল ইস্যুতে মুখ খুলেছেন। কিন্তু মহারাষ্ট্র সরকারের এই পদক্ষেপ নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের কাছে রাজ্য সরকারের দাবি, ফিরিয়ে আনা হোক ‘মহারাষ্ট্র অ্যানিমাল প্রিজারভেশন অ্যাক্ট, ১৯৯৫’-এর সেকশন ৫ডি। বছরখানেক আগে গরুর গোশত নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে একটি আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বম্বে হাই কোর্ট ওই আইন ‘বাতিল’ বলে ঘোষণা করে। ১৯৭৬ থেকেই মহারাষ্ট্রে গো-হত্যা নিষিদ্ধ। ‘মহারাষ্ট্র অ্যানিমাল প্রিজারভেশন অ্যাক্ট, ১৯৯৫’ আইন হিসাবে প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে স্বীকৃতি পায় ২০১৫-র ৪ মার্চ।
ওই আইন মোতাবেক, রাজ্যের পুলিশ অফিসাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরুর গোশতের খোঁজে তল্লাশি চালাতে পারেন। কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তি মহারাষ্ট্রে গরুর গোশত নিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে তাকে আটক করে তল্লাশি চালাতে পারেন। এবার ফের ওই আইন ফিরিয়ে আনতে চায় মহারাষ্ট্র সরকার। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আবেদন, মৌলিক অধিকারকে খর্ব করছে হাই কোর্টের রায়। অবিলম্বে রাজ্য পুলিশকে বাড়ি বাড়ি গরুর গোশতর খোঁজ করার অনুমতি ও অধিকার দেওয়া হোক। রাজ্যের দাবি, মৌলিক অধিকারকে খর্ব করতে পারে এমন কোনও রায় দিতে পারে না হাই কোর্ট। শীর্ষ আদালতের কাছে দেবেন্দ্র ফড়ণবিস সরকারের আবেদন, ‘মহারাষ্ট্র অ্যানিমাল প্রিজারভেশন অ্যাক্ট, ১৯৯৫’-এর প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে হাই কোর্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।