পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আশা পূরণ হলো না সিদ্দিকুর রহমানের। দৃষ্টি ফিরে পেলেন না তিনি। অন্ধত্বই এখন তার চিরসাথী। পুলিশের টিয়ারসেলের আঘাতে গত ২০ জুলাই তিতুমির কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুরের দুচোখ মারাত্মক জখম হয়। এরপর চোখের আলো ফিরে পাওয়ার আশায় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের সহায়তা সিদ্দিকুরকে চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ে পাঠানো হয়েছিল। সিদ্দিকুর রহমান তখন আশা করেছিলেন দৃষ্টি ফিরে পেলে দেশে ফিরে তিনি সর্বপ্রথম প্রধানমন্ত্রী দেখবেন। তার সেই আশ আর পূরণ হলো না। অন্ধত্ব নিয়েই দেশে ফিরতে হলো তাকে। গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান দৃষ্টি হারা সিদ্দিকুর। ভারতের স্থানীয় সময় ১২টার দিকে মালদ্বীপ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে দেশের উদ্দেশে রওয়ানা হন তিনি। একইসময়ে তার সঙ্গে যাওয়া চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল এহসান মেনন ও তার বড়ভাই নওয়াব আলীও দেশে ফিরে আসেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা. গোলাম মোস্তফা সিদ্দিকুর রহমানের ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, আগামীকাল (আজ) শনিবার সব কাগজপত্র দেখে পরবর্তী করনীয় ঠিক করা হবে। সেই সাথে তার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কেও বলতে পারবেন বলে তিনি জানান।
সিদ্দিকুরের বরাত দিয়ে সহপাঠী শেখ ফরিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। ফরিদ বলেন, ‘আমরা বন্ধুরা তাকে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করেছি। তাকে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নেয়া হচ্ছে। সেখানেই বাকি চিকিৎসা হবে সিদ্দিকুরের।’
ফরিদ জানান, গত বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ের চিকিৎসক লিঙ্গম গোপালের সঙ্গে দেখা করেছেন সিদ্দিকুর। চিকিৎসক বলেছেন, তার বাঁ চোখের রেটিনার ৯০ শতাংশই নষ্ট। বাকি ১০ শতাংশে আলো ফিরে আসা ভাগ্যের ওপর নিভর্রশীল। অন্যদিকে ডান চোখের দৃষ্টি দেশে থাকতেই নষ্ট হয়। যার কারণে আজ সিদ্দিকুর দেশে ফিরে এসেছেন।
পরীক্ষার তারিখ ঘোষণাসহ সাত দফা দাবিতে গত ২০ জুলাই রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভকালে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে সিদ্দিকুরসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও পরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার দুই চোখে কয়েকটি অস্ত্রোপচারে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ভারতের চেন্নাইয়ে পাঠানো হয়। এদিকে সিদ্দিকুরের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশ সদর দপ্তর ও রমনা জোন দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করলেও গতকাল পর্যন্ত সেগুলোর প্রতিদেন প্রকাশ করা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।