পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে দ্বিমত থাকলেও আদালতের প্রতি সরকার শ্রদ্ধাশীল বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, শ্রদ্ধেয় আপিল বিভাগ যে যুক্তিতে তা বাতিল করেছেন তা যুক্তিযুক্ত না। এ সংসদের অভিপ্রায় ছিল না কোনো সংশোধনী দ্বারা কারও বিরুদ্ধে কিছু করার। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই বিচার বিভাগ ও সংসদ কোনও পাওয়ার কনটেস্টে নামেনি।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংসদ নিজে তদন্ত না করে তৃতীয় পক্ষ দ্বারা বিচার করে। এমন পদ্ধতি অনেক জায়গায় রয়েছে। যা বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে নয়। আমরাও তেমন একটা ব্যবস্থা করি। আমাদের কাছে আর্বিটারির মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্টের বিচারকগণকে অপসারণ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলেরই ব্যর্থতা বলে মনে হয়েছে। এটা অস্বচ্ছ ও নাজুক পদ্ধতি।
আনিসুল হক বলেন, রাজনৈতিকভাবে নয়, আমরা এটি আইনগতভাবে মোকাবিলা করবো। রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। খুঁটিনাটি বিষয়গুলো পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। রিভিউয়ের বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।তবে রায়ের পর্যবেক্ষণে নির্বাচন, জাতীয় সংসদ, সংসদ সদস্য, সরকার ও মহান স্বাধীনতার মতো বিষয়ে ‘আপত্তিকর’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। সেগুলো এক্সপাঞ্জ করার জন্য আবেদন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর দ্বারা চাকরির নিশ্চয়তা রক্ষা করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে সুদৃঢ় করার চেষ্টাই হয়েছে।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে প্রধান বিচারপতি জাতীয় সংসদকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন বলে অভিযোগ করে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতির বক্তব্য আবেগ ও বিদ্বেষ তাড়িত। তার এ ধরনের বক্তব্যে আমরা দুঃখিত।
গত ৩ জুলাই বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন বাতিল করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের রায়ের কিছু পর্যবেক্ষণ ‘এক্সপাঞ্জ’ করে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল ‘সর্বসম্মতভাবে’ খারিজ করার রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি।
গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সভা শেষে এক অনির্ধারিত আলোচনায় ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা। এছাড়া এ রায়ের অনেক বক্তব্যকে ‘আপত্তিকর’ বলে অভিহিতও করেন তারা। এমনকি এসব ‘আপত্তিকর’ বক্তব্য প্রত্যাহার করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির বরাবর লিখিত আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।