পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : গ্রাহককে আটকে রেখে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক দনিয়া শাখার কর্মকর্তারা হয়রাণি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মহিউদ্দীন আহমেদ নামে ওই গ্রাহককে ৪ঘন্টা ব্যাংকে আটকে নানাভাবে হয়রাণি করা হয়। ভুক্তভোগী গ্রাহক এ বিষয়ে আজ (বৃহষ্পতিবার) বাংলাদেশ ব্যাংকে লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া তিনি গতকালই বাংলাদেশ ব্যাংকের হটলাইন নম্বর ১৬২৩৬ নম্বরে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন।
ঘটনার বর্ণনায় বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, বুধবার ১১ টায় মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক লি. দনিয়া শাখায় ত্রিশ হাজার টাকার একটি চেক উত্তোলন করতে গিয়ে তিনি হয়রানির স্বীকার হন। মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, এস ও এস ইলেকট্রিক ল্যাম্প কোম্পানীর নিকট ব্যক্তিগত পাওনা টাকার একটি চেক নিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করি। উত্তোলনের ১ ঘন্টা পর ব্যাংক থেকে ফোন করে অনুরোধ করা হয়- ‘চেকে ত্রæটি রয়েছে, আপনি এসে একটু ঠিক করে দিয়ে যান।’ সে অনুযায়ী আধা ঘন্টা পর ব্যাংকে গেলে ব্যাংক থেকে ‘টাকা ফেরত দিতে বলা হয়’।
মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, তখন ওই একাউন্টধারী ব্যক্তির সাথে ব্যাংক কর্মকর্তাদের কথা বলিয়ে দেন এবং একাউন্টধারী ব্যক্তির শাখার ম্যানেজারের সাথে ওই শাখার লোকজনের সাথে কথা বলিয়ে দেন। কিন্তু ব্যাংক কর্মকর্তারা তাৎক্ষনিকই টাকা ফেরত দিতে হবে বলে জানায়। এ সময় মহিউদ্দীন ব্যাংক কর্মকর্তাদেরকে ‘টাকা উঠিয়ে অন্য জায়গায় জমা দেয়ার কথা জানান। একই সঙ্গে তার হাতে এই মুহুর্তে কোন টাকা নেই বলে জানান। এরপরও ব্যাংক কর্মকর্তারা তার সাথে খারাপ ব্যবহার ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।
পরবর্তীতে মহিউদ্দীন তাদেরকে বলেন, ‘আমার বাসা যাত্রাবাড়ীর কাজলায়। আমার সাথে প্রয়োজনে কাউকে দিয়ে দিন, আমি টাকা দিয়ে দিব।’ কিন্তু তাতেও রাজী হয় না ব্যাংক। ভুক্তভোগী গ্রাহক জানান, পরবর্তীতে পাশ্ববর্তী হাসনাবাদ শাখার ম্যানেজারের সাথে কথা বলে তাদের কাছ থেকে অনুমতি নিলে তারা দুই জন প্রহরীকে আমার সাথে পাঠায়। পরে বিকাল ৩ টা ১৭ মিনিটে ত্রিশ হাজার টাকা ফেরত দিলে ব্যাংক মহিউদ্দীনকে ছেড়ে দেয়। তিনি এ বিষয়ে সরকারের কাছে বিচার কামনা করেন।
মহিউদ্দীন আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, এ বিষয়ে আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের হটলাইনে যোগাযোগ করি। ব্যাংক থেকে জানানো হয়, ‘আপনি বেয়ারার হিসেবে ব্যাংক জবরদস্তি করতে পারে না। যদি ওই একাউন্টধারী তাদেরকে নিশ্চিত করে যে, এই চেক তিনি প্রদান করেছেন। একই সঙ্গে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়েরের কথা জানায়।’
এ বিষয়ে শাখা মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক দনিয়া শাখার ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে চাইলে প্রতিবেদকের পরিচয় জানতে পেরে ‘কথা শুনতে পারছেন না বলে মোবাইল ফোনটি কেটে দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।