পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি : জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে উপমহাদেশসহ বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের নেতৃত্ব আসবে। এই সময়ের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত মুসলমানের সংখ্যা হবে ১শ’ কোটি। বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৯০ ভাগ মুসলমান এবং এ হার দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৩ সালে শাহবাগ থেকে ব্লগাররা ব্যাক করার পর বাংলাদেশ আরো বেশি ইসলামাইজড হচ্ছে। শুধুমাত্র লম্বা দাড়ি, মাথায় টুপি পরলেই ইসলাম হচ্ছে না, আমরা যে ইসলাম সম্পর্কে জানি সে ইসলামের কথা আল্লামা ফুলতলী ছাহেবও বলতেন। এখন তার উত্তরসূরীরা সে ইসলামের কথাই বলে যাচ্ছেন।
তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাসকারীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যারা এখানে থেকে আরেকটা জেনারেশন বিল্ড করে গেছেন এই সোসাইটিকে কন্ট্রিবিউট করতে হবে। তাদেরকে ধরে রাখতে হবে।
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে অবস্থিত সিরাজাম মুনিরা এডুকেশন সেন্টার ও জামে মসজিদে তাকে দেয়া সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথাগুলো বলেন।
সিরাজাম মুনিরা এডুকেশন সেন্টারের পরিচালক আলহাজ হাফিয সাব্বির আহমদের সভাপতিত্বে ও ফুলতলী ইসলামিক সেন্টার, কভেন্ট্রি, ইউকের প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল হাসানের পরিচালনায় সভায় কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত করেন মাও. হাবীবুল্লাহ।
সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ হাফিয সাব্বির আহমদ বলেন, সারাবিশ্বে মুসলমানরা নির্যাতিত হওয়ার প্রধান কারণ বিচ্ছিন্নতা, সঠিক ইসলামি আকীদা বিশ্বাস থেকে সরে যাওয়া। ইসলাম ও মুসলমানের ক্রান্তি লগ্নে আউলিয়ায়ে কেরামের আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। যুগের বিদ্যায় পারদর্শী হতে হবে এবং মুসলমান মুসলমানের আরো কাছাকাছি আসতে হবে। বর্তমান সময়ে মুসলমাদের ঐক্যের একমাত্র পথ হচ্ছে মুহাম্মদী তরীকার অনুসরণ। সমাজের সর্বস্তরের মুসলমাদের মধ্যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শের বিস্তার ঘটানো।
তরীকায়ে মুহাম্মদীয়ার আদর্শে আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী, মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরীসহ ফুলতলী ছাহেবের রুহানী সন্তানরা কাজ করে যাচ্ছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিরাজাম মুনিরা এডুকেশন সেন্টার ও জামে মসজিদের পরিচালক আলহাজ কাজী মোঃ নানু মিয়া, হাফিয রুহুল আমিন মোঃ আব্দুল হালিম, মোঃ আল-আমিন, মোঃ শাহ নূর প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।