পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : সিকিম সীমান্তের দোকলাম এলাকায় ভারত-চীনের সেনা মোতায়েনের জেরে শিগগিরই দেশ দুটির মধ্যে পুরো মাত্রার যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিক মেঘনাদ দেশাই। চলতি সপ্তাহে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এই রাজনীতিক এ ধরনের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের সদস্য মেঘনাদ দেশাই দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্কেও বেশ অভিজ্ঞ। দোকলামের পাশাপাশি দক্ষিণ চীন সাগরসহ নানা ধরনের হুমকি নিয়ে এই যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা করছেন তিনি। তাতে জড়িয়ে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র এবং সেই যুদ্ধে ভারতকে সমর্থন করতে পারে দেশটি।
বার্তা সংস্থা ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস (আইএএনএস) এর সাংবাদিক সাকেত শর্মাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশাই এ ধরনের শঙ্কা প্রকাশ করেন। দেশাই বলেন, কেউ বলতেই পারবে না যে, কখন দোকলামে যুদ্ধটা শুরু হয়ে যাবে। এক মাসের মধ্যে চীনের সঙ্গে পুরো মাত্রায় যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। পরিস্থিতি যে অবস্থায় পৌঁছেছে তাতে করে যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।
তিনি আরও বলেন, আকস্মিকভাবে যুদ্ধটা শুরু হয়ে যেতে পারে। কিন্তু অন্যান্য দেশের সহায়তায় ভারত চাইলে তা ঠেকাতে পারে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই রাজনীতিক বলেন, দোকলামে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তা শুধুমাত্র চীন-ভারতের বিবাদ হিসেবে দেখা উচিত হবে না।
দেশাই বলেন, এই মুহূর্তে দক্ষিণ চীন সাগরে যা ঘটছে; সেটা নিয়ে অনেক কিছু করা আছে। যুক্তরাষ্ট্র সেখানে যথেষ্ট সঙ্কেত পাঠিয়েছে। যদি যুদ্ধ হয়; তাহলে সেটি হবে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে। দক্ষিণ চীন সাগর এবং হিমালয় অঞ্চলের এই যুদ্ধে ভারতের হয়ে লড়বে যুক্তরাষ্ট্র। এই তিন দেশ (ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র) বর্তমানে চরম উত্তেজিত।
এশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই দেশের মাঝে যদি পৃথকভাবে অথবা সরাসরি যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কি ভারতের পক্ষে অবস্থান নেবে; এমন এক প্রশ্নের জবাবে পদ্মভূষণ বিজয়ী এই রাজনীতিক বলেন, অবশ্যই। শেষ পর্যন্ত আপনাকে বুঝতে হবে যে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা এবং সমর্থন ছাড়া চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়াবে না। যুক্তরাষ্ট্রও ভারতের সহায়তা ছাড়া চীনের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে না। এটিই দুই দেশের মাঝে পারস্পরিক সম্পর্কের সমতা।
তবে ঠিক কখন এবং কোথায় সেনাবাহিনী পুরো মাত্রায় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে, সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। দেশাই যে যুদ্ধের আশঙ্কা করছেন, সেটা হিমালয়ের পর্বতমালা থেকে দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমি কোনো জ্যোতিষী নই। কোন দিন কিংবা কোন তারিখে যুদ্ধ শুরু হবে, তা বলতে পারবো না। কিন্তু এই সময়ে এসে আমার মনে হচ্ছে, চীনের সঙ্গে খুব দ্রæত পুরো মাত্রায় যুদ্ধ শুরু হবে এবং আপনি মনে রাখবেন, যুদ্ধটা কেবল দোকলামে নয়, বিভিন্নস্থানে শুরু হবে। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।