পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অবস্থার প্রশংসা করে বিদায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়েদুন বলেছেন, আগামী নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল প্রেরণ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইইউর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে তাদের উদ্যোগে ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিদায়ী ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি একথা বলেন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী ইইউ রাষ্ট্রদূতকে বলেন, অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাড়াতে বাংলাদেশ এই লক্ষ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারে। যেটি উভয়ের জন্য লাভজনক।
ইহসানুল করিম বলেন, ইইউ অ্যাম্বাসেডরও বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়ানোর কথা বলেছেন। বাংলাদেশে বাণিজ্য পরিবেশে উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ইইউ বিজনেস ডায়ালগ প্রক্রিয়ার প্রশংসাও করেন তিনি।
পিয়েরে মায়েদুন বাংলাদেশের শ্রম আইন ও ইপিজেডের খসড়া আইন আরো পর্যলোচনা করতে প্রধানমন্ত্রীর কমিটমেন্টের প্রশংসা করেন। শ্রম অধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশকে সফলতার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রসঙ্গে পিয়েরে মায়েদুন বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে আগামী ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনে সহযোগিতার জন্য ইইউ’র নেয়া ‘ইউরো হরাইজন ২০২০’ বাংলাদেশের আরো বেশি অংশগ্রহণে উৎসাহ দেন তিনি। হরাইজন ২০২০’ অধিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের নির্দেশনা প্রধান করেন প্রধানমন্ত্রী।
পিয়েরে মায়েদুন ডিজিটাল বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং নিজেকে এই পরিবর্তনের সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করেন। বøু-ইকোনোমিতে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভবনার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ গঠনের প্রধান লক্ষ্য ছিলো শ্রমিক ও মেহনতি অধিকার আদায় করা। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তৈরি পোষাক শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি ১৬০০ টাকা থেকে ৫৩০০ টাকা করার কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। শ্রমিকদের কল্যাণে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।