পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে চিটাগাং মেট্রো চেম্বারের আবেদন
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম বন্দরে বিদ্যমান কন্টেইনার জট ও জাহাজের জট সমস্যা নিরসনের জন্য বন্দরের অবকাঠামো সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের তাগিদ দিয়েছে চিটাগাং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ। এই লক্ষ্যে পর্যাপ্ত জায়গা বৃদ্ধি করা হলে চট্টগ্রাম বন্দরজট নিরসন সম্ভব বলে চেম্বার মনে করে।
গতকাল (শনিবার) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব বরাবর প্রেরিত এক পত্রে চিটাগাং মেট্রোপলিটন চেম্বার নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রাম বন্দরের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে জায়গা বরাদ্দের আবেদন জানান। চিটাগাং মেট্রো চেম্বারের সহ-সভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরী স্বাক্ষরিত উপরোক্ত আবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরে প্রয়োজনীয় জায়গার অভাবে কন্টেইনার জট, বহির্নোঙরে জাহাজজটের কারণে বাংলাদেশে পণ্য পরিবহনের উপর সারচার্জ আরোপিত হয়েছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের আমদানি কাঁচামাল পেতে বিলম্বের কারণে রফতানি নেতিবাচক ধারায় যাচ্ছে। এ অবস্থার উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতে ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টম হাউস খোলা রেখে সুফল পাওয়ার জন্য বন্দরের জায়গা স¤প্রসারণের বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
আবেদনে চিটাগাং মেট্রোপলিটন চেম্বার জানায়, উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে যে গতিতে বাড়ছে এতে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান জায়গা আরও দ্বিগুণ সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। বন্দর এবং রেলওয়ের জায়গা সরকারের তথা দেশের জনগণের জায়গা। এ জায়গা জনস্বার্থে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কর্মকান্ডে ব্যবহারই কাম্য। যেহেতু বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং পোর্ট অথরিটি ১৯৬০ সালের পূর্বে একত্রিত প্রতিষ্ঠান ছিল। পরবর্তীতে পৃথক হওয়ার পর চট্টগ্রাম বন্দরের শেয়ারের অর্ধেক থাকার কথা থাকলেও তা বন্দরের সামান্য জায়গা ছাড়া অধিকাংশ জায়গা রেলের কাছেই রয়ে গেছে।
এতে বলা হয়, চট্টগ্রামে রেলওয়ের হেড কোয়ার্টার ছিল। এ কারণে এখনও চট্টগ্রাম শহরের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জায়গা রেলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে বিস্তীর্ণ রেলের জায়গা পড়ে আছে, অনেক জায়গা অগোছালো অবস্থায় রয়েছে। বন্দরনগরীর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বন্দরের আশেপাশে সরকারি জায়গাসমূহ বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ডে ব্যবহার, এলসিএল পণ্যশেড, কন্টেইনার ইয়ার্ড ইত্যাদির প্রয়োজনে সুষ্ঠু ব্যবহার আবশ্যক। চট্টগ্রাম বন্দরে প্রয়োজনীয় যান্ত্রিক সরঞ্জাম (ইকুইপমেন্ট) ও জায়গার অভাবেই বন্দরজটের এহেন বেহালদশা। এ অবস্থায় চেম্বার নেতৃবৃন্দ দেশের প্রধান বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি জন্য বন্দরের আশপাশে একটি রেললাইন ছাড়া বন্দর এলাকার ৩ কিলোমিটারের মধ্যে অবশিষ্ট সরকারি জায়গাসমূহ জনস্বার্থে বন্দর কর্মকান্ডে ব্যবহারের লক্ষ্যে বন্দরের কাছে হস্তান্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।