পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের রায়ের পর সরকারের পদত্যাগ করা উচিত মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, দেশে এখন নারী ও শিশু নির্যাতন তুফান গতিতে চলছে। আওয়ামী লীগ নেতা তুফান সরকার বর্তমান সরকারের সত্যিকারের প্রতিফল ঘটিয়েছেন। যতদিন এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে ততদিন এই তুফান চলতেই থাকবে।
আজ শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মওদুদ আহমদ এসব বলেন।
‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ভুমিকা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। অন্যদের মধ্যে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, নিতাই রায় চৌধুরী, তৈমুর আলম খন্দকার, খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির কেন্দ্রীয় নেতা আ হ ম জহির হোসেন হাকিম, ফিরোজ মাহমুদ মন্ডল, সালমা রহমান, বেলাল আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, মো: ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অহিদুর রহমান।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সংবিধানের ষোড়ষ সংশোধনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সরকারের উচিত পদত্যাগ করা। কোর্টের ৭৯৯ পৃষ্ঠার রায় নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। কিন্তু সরকার চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারবিভাগকে প্রশাসনের অধীনস্ত করেছিল। এই সরকার ক্ষমতায় থাকার কোনো বৈধতা নেই।
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতিতো ৭২ সালের সংবিধানেই ফিরে যেতে বলেছেন। যারা বলেন যে, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নিয়ে নিতে চাচ্ছেন। আসলে প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ফিরিয়ে দিতে চাচ্ছেন। তিনি তো ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে ফিরে যেতে বলেছেন। আমি তো মনে করি সুপ্রিম কোর্টের রায় সোনালী রায়। এই রায়ের সমালোচনা করার কোনা সুযোগ নেই।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, সরকার তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। এই সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবেনা। কোনো দল অংশগ্রহণ করবেনা। আমরা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবোনা। যেতে চাইনা।
তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, এই সরকার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গেছে। তারা অবাধে লুণ্ঠন এবং দুর্নীতিতে লিপ্ত। আজকে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স নেই। বিনাভোটের এমপি দিয়ে গঠিত সংসদ অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, দেশের কোনো লোক বিশ্বাস করেনা যে হাসিনার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে? কিন্তু এনপিপি তথা বিশ দল মনে করে সহায়ক সরকার ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই বলি আমরা নিরপেক্ষ সরকার অধীনে নির্বাচনে যাবো। সরকার যদি তা না মানে তবে আমরা জানি কি করে সেই সরকার আদায় করতে হয়। প্রয়োজনে দেশে আবারো আন্দোলন সংগ্রাম হবে। তবে আমরা চাইনা পরিস্থিতি সাংঘর্ষিক হোক?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।