পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেছেন, 'হজযাত্রীদের ভিসা নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে, তা দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে।'
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় সচিবালয়ের ধর্ম মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংকটের জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে দায়ী করে ধর্মমন্ত্রী বলেন, 'তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
তিনি বলেন, 'বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও হজ এজেন্সিগুলো সময়মতো পদক্ষেপ নেয়নি। হজযাত্রীদের নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য হজ এজেন্সিগুলোই দায়ী।’
মন্ত্রী আরও বলেন, 'সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে কথা হয়েছে। যে হজযাত্রীরা ভিসা পাননি, তারা এখন ভিসা পাচ্ছেন।'
এবার অসংখ্য হজযাত্রী ই-ভিসার ভোগান্তিতে পড়েছেন। ভিসা জটিলতায় তাদের অনেকেই বিমানের নির্ধারিত ফ্লাইট ধরতে পারছেন না। এ কারণে আসন খালি নিয়েই সৌদি যাচ্ছে বিমানের ফ্লাইট। হজযাত্রীর অভাবে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিমানের ১৩টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। সৌদিয়া এয়ারলাইন্সকে বাতিল করতে হয়েছে তিনটি ফ্লাইট।
সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, এ অবস্থা চলতে থাকলে স্লট (বিমান অবতরণ ও উড্ডয়নের অনুমতি) বিড়ম্বনায় পড়তে পারে বিমান। স্লট না বাড়ানো গেলে অন্তত ৪০ হাজার যাত্রীর হজে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। বিমান এবার ১৪৪টি স্লট বরাদ্দ পেয়েছে। আশঙ্কার কথা স্বীকার করেছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননও। তিনি সমকালকে বলেন, বিমান শতভাগ প্রস্তুত থাকলেও ভিসা না পাওয়ায় যাত্রী পরিবহন করা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে কম যাত্রী নিয়ে সৌদি যাচ্ছে বিমান।
তিনি আরও বলেন, বাতিল হওয়া ফ্লাইটগুলোর স্লট পুনরায় বরাদ্দ চেয়ে বিমান এরই মধ্যে আবেদন করেছে।
সৌদি দূতাবাস সূত্র জানায়, ই-ভিসা জটিলতার বড় কারণ হচ্ছে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে যারা হজ করেছেন তাদের হজ প্যাকেজের বাইরে দুই হাজার রিয়াল অতিরিক্ত দিতে হবে। সৌদি কর্তৃপক্ষের নতুন নিয়ম অনুযায়ী বাড়তি অর্থ হজ এজেন্সি নাকি যাত্রী দেবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভিসা পেতে দেরি হচ্ছে। এ ছাড়া ভিসা পেতে নির্দেশনা রয়েছে, সৌদি হাজিরা যে বাড়িতে থাকবেন, সেই বাড়ি বা হোটেলের নাম, তাসরিয়া নম্বর সংবলিত স্টিকার তাদের পাসপোর্টের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। হজ এজেন্সিগুলো শেষ সময়ে কম টাকায় বাড়ি ভাড়া করার সুবিধা নিতেও দেরিতে বাড়ি ভাড়া করছেন বলে ভিসায় জটিলতা হচ্ছে।
ওই সূত্র আরও জানায়, টাকা দেওয়ার রশিদ সংযুক্ত না থাকায় অধিকাংশ ই-ভিসার আবেদন গ্রহণ করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া আবেদনপত্রের সঙ্গে দেওয়া হজযাত্রীদের ছবি ছোট-বড় হওয়ায়ও সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
কয়েকটি সূত্র জানায়, চলতি বছর হজযাত্রীদের জন্য নতুন নিয়ম করে সৌদি সরকার। এর ফলে মোয়াল্লেম ফিও বেড়েছে। বিগত দিনে ৭২০ রিয়ালের মধ্যে মোয়াল্লেম ফি নির্ধারিত করলেও চলতি বছর হজ এজেন্সিগুলোর কাছে সৌদি আরবের মোয়াল্লেমরা ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ রিয়াল বাড়তি দাবি করছেন। বাড়তি ব্যয়ের বোঝা কমাতে হজ এজেন্সিগুলোর মধ্যে কম টাকায় বাড়ি ভাড়া নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।