পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের এক মুসলিম ছাত্রনেতা অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। স্বশাসিত বোড়োল্যান্ড এলাকার মুসলিম ছাত্র ইউনিয়ন - এবিএমএসইউ’র সভাপতি লাফিকুল ইসলামকে কোকরাঝাড় শহরের খুব কাছে তিতাগুড়ি বাজারে হত্যা করা হয় গতকাল বিকেলে।
পুলিশ বলছে লাফিকুল ইসলাম যখন একটি দোকানে বসেছিলেন, সেই সময়ে মোটরবাইকে করে এসে দুই বন্দুকধারী গুলি চালায় তার মাথা লক্ষ্য করে। ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন তিনি। দুই বন্দুকধারীরই মাথায় হেলমেট পরা ছিল। হত্যাকান্ডের পরেই সেখানকার ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য-সমর্থকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ বলছে, যদিও কারা এই হত্যাকান্ড ঘটালো তার আন্দাজ এত তাড়াতাড়ি করা কঠিন, তবে ব্যক্তিগত শত্রæতার জেরেও এই ঘটনা হয়ে থাকতে পারে। বোড়োল্যান্ড এলাকার এক সিনিয়ার পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘নিয়মিত অপারেশনের মাধ্যমে জঙ্গী সংগঠনগুলোকে এখন জঙ্গলের ভেতরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাদের এতটা সাহস হবে না যে, শহরে এসে এই ঘটনা ঘটিয়ে চলে যাবে’।
যেহেতু মাথায় হেলমেট পরা ছিল, তাই দুষ্কৃতিরা পরিচয় গোপন করতে চেয়েছিল বলেও সন্দেহ ওই পুলিশ কর্মকর্তার। লাফিকুল ইসলাম বোড়োল্যান্ড অঞ্চলের মুসলিমদের স্বার্থ নিয়ে সবসময়েই সরব ছিলেন। কয়েকবছর আগে একের পর এক বোড়ো-মুসলমান দাঙ্গা চলাকালীন লাফিকুল ইসলামই ওই অঞ্চলের মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বকারী কন্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। লাফিকুল ইসলামের মৃত্যুর পরে আইনশৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয়, তার দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।