ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
চলনবিল
চলনবিল এক ঐতিহাসিক বিল, যা বাংলাদেশের বড় বিলগুলোর মধ্যে একটি। এর ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা বিশাল। সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও নাটোর এ ইতিনটি জেলার প্রায় নয়টি উপজেলায় এই বিল বিস্তৃত। চলনবিল মিঠা পানির মাছের আধার।
চলনবিলের কৃষকেরা কৃষি প্রযুক্তিতেও বেশ আগ্রহী। ইরি মৌসুমে চলনবিলের মাঠে প্রচুর ধানের চাষ হয়। কিন্তু এই বিশাল জনপদে উচ্চশিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে কোথাও আজ অবধি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়নি। চলনবিলের নামে অনেক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হলেও কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি। উল্লেখ্য, পাবনা ও সিরাজগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও নাটোরে বিশ্ববিদ্যালয় নেই। চলনবিলের কৃষি সম্ভাবনা আবিষ্কারে চলনবিল কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে নাটোর জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হোক। এতে এই অঞ্চলের কৃষকেরা লাভবান হবেন, দেশেরও উপকার হবে।
মোহাম্মদ অংকন, ঢাকা।
জীবনযুদ্ধ!
জীবনের বিশাল একটা সময় আমাদের চলে যায় পড়াশোনার জন্য। মোটামুটি ১৩১৪ বছর চলে যায় উচ্চমাধ্যমিক পাস করতে। আর উচ্চমাধ্যমিক পাস মানেই বিশাল এক অপরাধ, এক বিশাল সমুদ্রের মাঝে ভেলাবিহীন অবস্থায় পড়া। ভর্তিযুদ্ধ নামক বিভীষিকার মুখে পড়তে হয় আমাদের। এই বিভীষিকা পার হওয়ার যোগ্যতা থাকলেও যে কয়জন পরীক্ষার্থী জিপিএ৫ পান, তাঁদের সবার বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ার সুযোগ থাকে না। এই পর্যায়ে এসে ছেলেবেলার স্বপ্ন হারিয়ে যায়। তখন মনে হয় যা পাই তাতেই চলবে। দেশের অধিকাংশ ছাত্রই নিজের ইচ্ছানুযায়ী পড়াশোনা করতে পারে না।
আর মাত্র এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টার এমসিকিউ পরীক্ষা দিয়ে কী মেধা যাচাই হয়, তা নিয়ে সন্দেহ জাগে! যদিও প্রশ্ন ফাঁস নামক এক অন্য বিভীষিকার নাম তো রয়েই গেছে। এই সবকিছুর সঙ্গে যুদ্ধ করে অবতীর্ণ হতে হয় স্নাতক পর্যায়ে, যদিও এখানেই বহু মেধাবী হারিয়ে যায় কালের অতল গহŸরে। এরপর শুরু হয় চাকরির লড়াই। এই পর্যায়ে এসে অনেককে আবার ইচ্ছার বিসর্জন দিতে হয়। এই বিসর্জন দিতে দিতে একসময় আমাদের আর সবই থাকে, থাকে না শুধু হৃদয়। এই পরিস্থিতিতে হয়তো মানুষ দুর্নীতি করতে প্ররোচিত হয়!
মো. মাহবুবুর রহমান, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
বেতন গ্রেড-বৈষম্য
জাতীয় বেতন স্কেলে ২০টি গ্রেড রয়েছে। একটি বেতন গ্রেড থেকে অন্য আরেকটি গ্রেডের যে ব্যবধান রয়েছে, তার আনুপাতিক হার সমান নয়। নবম গ্রেডের এর মূল বেতন ২২ হাজার টাকা আর তার নিচের নিকটবর্তী গ্রেডের মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা, পার্থক্য ৬ হাজার টাকা। যেখানে ১২ ও ১৩ গ্রেডের মধ্যে পার্থক্য ৩০০ টাকা মাত্র।
মজার বিষয় হলো, এই ১০ গ্রেডেও লোক নিয়োগ দিতে তেমন একটা দেখা যায় না। সরকার সাধারণত নবম অথবা ১১তম গ্রেডের নিচে লোক নিয়োগ দেয়। মনে হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে নিচের গ্রেডের কর্মচারীদের বাড়তে না দিতে বেঁধে রাখা হয়েছে। সাংগঠনিক কাঠামো গঠনকালে নীতিনির্ধারকেরা শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে অনার্স ও মাস্টার্স চাইলেও বেতন গ্রেডে ভারসাম্য রক্ষা করার কথা ভাবেন না। নিচের গ্রেডগুলোতে ব্যবধান কম থাকায় অষ্টম শ্রেণি পাস একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বেতন ও স্নাতক পাস কর্মচারীর বেতন প্রায় কাছাকাছি। জাতীয় পে স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী বর্তমানে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড না থাকায় একটি গ্রেড অতিক্রম করতে সাধারণত ১১ বছর অপেক্ষা করতে হবে। যাঁরা টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পেয়ে কয়েকটি গ্রেড ওপরে উঠে গেছেন, তাঁদের সঙ্গে নব্য চাকরিজীবীদের বেতন গ্রেড ব্যবধান ও বৈষম্য অনেক।
এই বৈষম্য কীভাবে দূর হবে? নাকি আদৌ দূর হবে না?
মো. নূর আলম, ঢাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।