পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি চাকরির বয়স থাকুক আর নাই থাকুক, যোগ দেওয়ার পর থেকে তিন বাহিনীর প্রধানরা চারবছর মেয়াদ থাকতে পাবেন। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধান পদের মেয়াদ সর্বোচ্চ চার বছর নির্ধারণ করে এ সংক্রান্ত আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর প্রধানদের (নিয়োগ, বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধা) আইন- ২০১৭ এর খসড়া এই অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া বিদ্যুৎ স্থাপনায় নাশকতা করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদন্ড এবং ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রেখে বিদ্যুৎ আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানে বলা আছে, বাহিনী প্রধানদের নিয়োগ ও বেতন-ভাতা আইন দিয়ে নির্ধারিত হবে। এতদিন জয়েন্ট সার্ভিসেস ইন্সট্রাকশনস ( জেএসআই) নামে একটি সার্কুলার দিয়ে এটা চলত। যেহেতু সংবিধানের বাধ্যবাধকতা আছে, সেহেতু আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।
বর্তমান বেতন কাঠামো অনুযায়ী বাহিনী প্রধানরা মাসে ৮৬ হাজার টাকা মূল বেতনের সঙ্গে অন্যান্য ভাতা ও সুযোগ সুবিধা পাবেন। মূল বেতনের এই পরিমাণ মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বেতনের সমান। বাহিনী প্রধানরা বিশেষ আবাসিক সুবিধা, আবাসিক সংশ্লিষ্ট সুবিধা, সার্বক্ষণিক গাড়ি, সামরিক হাসপাতালে বিনা খরচে নিজে ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা, রেশন, ভবিষ্যৎ তহবিল ও সহায়ক জনবল সুবিধার পাশাপাশি এককালীন আউটফিট ভাতা, ভ্রমণ ভাতা, উৎসব ভাতা, নববর্ষ ভাতা ও শান্তিবিনোদন ভাতা পান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,জয়েন্ট সার্ভিসেস ইন্সট্রাকশনস-এ বাহিনী প্রধানদের পদে চাকরির সময় নির্ধারণ ছিল না। নতুন আইনে বলা হয়েছে, চার বছরের জন্য উনারা (বাহিনী প্রধান) নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। প্রেসিডেন্ট তাদের নিয়োগ দেবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গতবছর ডিসেম্বরে এ আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। সরকারি চাকরির অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর এক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। কোনো বাহিনীর প্রধান ৫৯ বছর বয়সপার হওয়ার পরও চার বছরের পুরো মেয়াদ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, যদি সরকার তাকে অবসরে না পাঠায়। চাকরির বয়স থাকুক আর নাই থাকুক, যোগ দেওয়ার পর মেয়াদ চার বছর থাকবে। চাকরি থাকলে মাইনাস ধরে নেন, সব মিলিয়ে চার বছর। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেছিলেন, চাকরি এক বছর থাকা অবস্থায় কেউ কোনো বাহিনীর প্রধান পদে নিয়োগ পেলে তিনি সরকারের ইচ্ছায় আরও তিন বছর সময় পেতে পারেন। যেমন ধরুন, জেনারেল হিসেবে অবসরে যাওয়ার করার কথা ফিফটি নাইনে (বছরে), ওই সময় উনি আর্মি চিফ হলেন। তখন থেকেই উনার (চাকরির মেয়াদ) চার বছর যুক্ত হবে। খসড়ায় নীতিগত অনুমোদনের সময় জানানো হয়েছিল, বাহিনী প্রধানরা পদ থেকে অবসর নেওয়ার দিন থেকেই তিনি অবসরপ্রাপ্ত বলে গণ্য হবেন। বেসামরিক কর্মকর্তাদের মত এক বছরের অবসরোত্তর ছুটিও (পিআরএল) পাবেন। কোনো বাহিনী প্রধান অবসর নেওয়ার পর কোনো সামরিক বা অসামরিক পদে পুনঃনিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না। তবে চুক্তিভিত্তিতে কোনো অসামরিক পদে নিয়োগ পেতে পারেন। অবসরপ্রাপ্ত তিন বাহিনী প্রধানরা প্রজাতন্ত্রের কেনো কাজে সামরিক বা বেসামরিক নিয়োগের অযোগ্য বিবেচিত হলেও সাংবিধনিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা থাকবে না।
নাশকতায় সাজার বিধান রেখে বিদ্যুৎ আইনের খসড়া অনুমোদন\
বিদ্যুৎ স্থাপনায় নাশকতা করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদন্ড এবং ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রেখে বিদ্যুৎ আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিদ্যুৎ আইন- ২০১৭’ এর খসড়া অনুমোদন করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, বিদ্যুৎ লাইন, খুঁটি বা অন্য যন্ত্রপাতি নাশকতার মাধ্যমে ভেঙ্গে ফেললে বা ক্ষতিগ্রস্ত করলে বা বিদ্যুৎ সরবারহ বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বা যন্ত্রের উপর কোনো বস্তু নিক্ষেপ করলে বা রাখলে সাত থেকে দশ বছরের কারাদন্ড বা ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ড হবে এ আইনে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পুরনো ইংরেজি আইনগুলো বাংলায় করার অংশ হিসেবে ১৯১০ সালের বিদ্যুুৎ আইন হালনাগাদ করে নতুন এ আইন হচ্ছে। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার পরে বিদ্যুৎ আইন পাস করতে এখন জাতীয় সংসদে তোলা হবে। সংসদে পাসের পর এটি কার্যকর হবে।
নতুন আইনে বিদ্যুৎ চুরির শানিস্ত সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদন্ড বা চুরি করা বিদ্যুতের মূল্যের দ্বিগুণ বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যেটা বেশি হয় সেটি। আগে জরিমানা ছিল ১০ হাজার টাকা। বিদ্যুৎ চুরি শিল্প প্রতিষ্ঠানে হলে ৫ বছরের কারাদন্ড বা বিদ্যুৎ চুরির মূল্যের দ্বিগুণ বা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ড অর্থদন্ড। কোনো ব্যক্তি অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগে কোন যন্ত্র, ডিভাইস বা কৃত্রিম পদ্ধতি স্থাপন বা ব্যবহার করলে তিনি ৩ বছরের কারাদন্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। এটা মিটার টেম্পারিং হতে পরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।