পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : হ্জ্ব ফেরত অনন্ত জলিল ভক্তদের ডাক দিলেন ইসলামের পথে। গতকাল রবীন্দ্র সরোবরে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে এমনই চমকে দিলেন উপস্থিত জনসাধারণকে। ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়ক তিনি। স¤প্রতি হজ্ব থেকে ফিরে বদলে যাওয়া রূপে সবার সামনে হাজির হচ্ছেন তিনি। মাথায় পাগড়ি, গায়ে দীর্ঘ সাদা পোশাকে চেনা অনন্ত জলিল যেন অচেনা এক বেশ ধারণ করেছেন। সে বেশেই গত শনিবার ফেইসবুক লাইভে এসে অনন্ত ভক্তদের আমন্ত্রণ জানান ধানমন্ডি লেকের রবীন্দ্র সরোবরে। অনন্তের ভাষ্যে, “আজ (শনিবার) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে আমি আসছি রবীন্দ্র সরোবরে, ধানমন্ডিতে। আপনাদের এবং তোমাদের সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলাপ করতে। প্লিজ, তোমরা সবাই এসো এবং আপনারাও আসবেন। আমার সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও থাকবেন। যাদের কথা শুনলে আমাদের জীবনে উপকারে আসবে। প্রিয় নায়কের এমন আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বিকেল থেকেই ভক্তরা জড়ো হতে থাকে রবীন্দ্র সরোবরে। ফেইসবুক লাইভে ঘোষণা দিলেও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অনুমতি না নেওয়ায় অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করার শর্ত মাথায় নিয়ে রবীন্দ্র সরোবরে উপস্থিত হন অনন্ত জলিল।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অনন্ত বলেন, এখানে কোনো অনুষ্ঠান করতে যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতির প্রয়োজন হয়। বিষয়টি আমাদের মাথায় ছিল না। তবে যেহেতু সবাইকে কথা দিয়েছি তাই কথা রক্ষার্থেই এসেছি আমি। শুধু এতটুকু বলব, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের প্রতিটি নিয়ম কানুনই মানুষের শান্তির জন্য। তাই আসুন আমরা ইসলামের পথে চলি। ইসলামের বিধিবিধানগুলো মেনে চলি।
আয়োজক সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত স¤প্রতি ওমরা হজ্ব পালন শেষে ধানমন্ডির এক মসজিদে ইসলামের বাণী ছড়াতে তাবলিগ জামাতে এসেছেন তিনি। সেখান থেকেই দাওয়াতি এক টিম নিয়েই রবীন্দ্র সরোবরে ধর্মের কথা শোনাতেই আসেন অনন্ত। এদিকে, অনুষ্ঠান শেষে এক ফেইসবুক বার্তায় অনন্ত জলিল ভক্তদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আইনগত ভাবে অনুষ্ঠানটির জন্য যে পারমিশন প্রয়োজন হবে, তা আমি ভাবিনি। সংক্ষিপ্ত সময়ের কারণে আইনগত পারমিশনের প্রসিডিউরগুলো করা সম্ভব হয়নি। তাই অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ করা যায়নি। এমতাবস্থায় তারপরও আমি আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিস্তারিত জানিয়েছি। বন্ধুগণ, অচিরেই আমি/আমরা একটি সুন্দর অনুষ্ঠান আপনাদেরকে উপহার দিব ইনশাআল্লাহ।
ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম আলোচিত চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল অভিনয়ের পাশাপাশি নানাধরণের সামাজিক কর্মকান্ডেও যুক্ত আছেন। দেশের অন্যতম এ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী বড়পর্দায়ও নতুন নতুন চমক এনে দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। ২০১০ সালে নিজের প্রযোজিত চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু হয় তার। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো-‘খোঁজ দ্য সার্চ’, ‘হৃদয় ভাঙা ঢেউ’, ‘দ্য স্পিড’, ‘মোস্ট ওয়েলকাম’, ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’ ও ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’। স¤প্রতি অনন্ত জলিল ‘দ্য স্পাই’ ও ‘সৈনিক’ নামে দুটি ছবি নির্মাণের ঘোষণা দিলেও চলচ্চিত্র দুটির কাজ এখনও শুরু হয়নি। সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।