Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চলতি অর্থ বছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ৩৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

| প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্জনে সকলকে কাজ করার আহবান বাণিজ্যমন্ত্রীর
অর্থনৈতিক রিপোর্টার: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, সরকার চলতি ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ৩৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় নির্ধারণ করেছে। এতে দেশে উৎপাদিত পণ্য ও কম্পিউটার সার্ভিস থেকে রপ্তানি আয় রয়েছে। এছাড়া সার্ভিস সেক্টর থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সর্বমোট রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গতবছর পণ্য ও কম্পিউটার সার্ভিস থেকে রপ্তানি আয় ছিল প্রায় ৩৪ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ১১ মাসে সার্ভিস সেক্টরে রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ৩৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৫৪ ভাগ আসে ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন থেকে। গত বছর ইউরো ও পাউন্ডের অবমূল্যায়নের কারনে রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও রপ্তানি আয় আশানুরুপ হয়নি। এ বছর রপ্তানি সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করে তিনি এ সব কথা বলেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, সরকার দেশের রপÍানি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশের রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কিছু পণ্যকে অগ্রাধীকার দেওয়া হয়েছে। তৈরী পোশাকের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, জাহাজ, ফার্নিচার রপ্তানিতে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ সকল পণ্য রপ্তানিতে বিভিন্ন হারে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। বিশ^বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পণ্যের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে, সংশ্লিষ্ট সকলে আন্তরিক হলে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্র অর্জনে কোন সমস্যা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর তৈরী পোশাক খাত মোট রপ্তানিতে ৮০ দশমিক ৮১ ভাগ, চামড়া খাত ৩ দশমিক ৫৪ ভাগ, পাট ও পাট পণ্য ২ দশমিক ৭৬ ভাগ, হোম টেক্সটাইল ২ দশমিক ২৯ ভাগ অবদান রখেছে। তৈরী পোশাক খাতে মাত্র শূন্য দশমিক ২০ ভাগ প্রবৃদ্ধি ঘটলেও ইঞ্জিনিয়ারি প্রোডাক্ট খাতে ৩৫ দশমিক শূণ্য ৫ ভাগ এবং প্লাস্ট্রিক প্রোডাক্ট খাতে ৩১ দশমিক ৪ ভাগ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। অন্যান্য খাতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
এ সময় বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বসু, শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. নমিতা হালদার, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান বিজয় ভট্রাচার্য্য, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রনণলয় ও বিভাগের কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ