ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
শিক্ষার আলোয় পৃথিবীকে আলোকিত করতে গিয়ে যদি নিজের পৃথিবীতে অন্ধকার নেমে আসে তারচেয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি আর কি হতে পারে! পিতৃহীন সিদ্দিকুর, মায়ের কাছে দেয়া দুই বছরের অপেক্ষিত স্বপ্ন এখন আজীবন স্বপ্নের মতো অধরায় হয়ে থাকবে এমন উদ্বেগজনক আশঙ্কাই করা হচ্ছে। ন্যায্য অধিকার দাবির মিছিলে, সমাবেশে, বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এ রকম পুলিশের বর্বরতার হামলার সম্মুখীন হওয়া যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভালো-দিক-মন্দ-দিক রকান দিকই না দেখে মিছিল, সমাবেশ, বিক্ষোভ কর্মসূচি দেখলেই পুলিশ দ্বারা হেনেস্তা, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেলের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠা। কেন এমন বর্বরতা? গণতান্ত্রিক দেশ, দেশে সাংবিধানিক আইন বলে তো কিছু আছে। সাংবিধানিক ৫৭ ধারার মারপ্যাঁচে যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠরূদ্ধ হতে হয় তখন সাংবিধানিক আইন অনুযায়ী ন্যায্য অধিকার লক্ষ্যে মিছিল, সমাবেশ, বিক্ষোভ কর্মসূচি করার ফলশ্রুতিতে পুলিশি হামলা! কেন মানবাধিকার লঙ্ঘনের আওতায় পড়বে না? উল্টো কিনা ১২০০ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে হত্যা-চেষ্টার মামলা ঠুকেছে পুলিশ! এ কেমন বিচার? রীতিমতো হতবাক।
আন্দোলনের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল সাতটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে(ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল ইসলাম কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও মিরপুর বাংলা কলেজ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করায় রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ অতিশীঘ্রই ঘোষণার জন্য।যেহেতু অন্যান্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গেছে,ফলাফলও দিয়ে দেয়া হয়েছে। শুধু পিছিয়ে আছে এই সাতটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এমনিতেই রাজনৈতিক কোন্দলের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষা সংকট তো হয়ই সেই সাথে চার ছরের সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে ছয়,সাত,আট বছরও লেগে যায় এমন নজির রয়েছে অনেক। আর এজন্য বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধিরও প্রধান কারণ। শিক্ষার্থীরা দাবি ছিল আমলাতান্ত্রিক জটিলতার ফলে তাদের পরীক্ষা পিছিয়ে পড়ার সমস্যা সমাধান করা হোক, একটা ঘোষণা আসুক যেন কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমলে নিয়েছে। কিন্তু এই মিছিলে এরকম ভয়াবহ পুলিশি হামলার সম্মুখীন হতে হবে কেউ কল্পনাও করে নাই। এখন দেখার বিষয় সিদ্দিকুর মায়ের কাছে দেয়া দুই বছরের স্বপ্ন দেখানো স্বপ্ন কল্পনায় গাথা থাকবে কিনা? নাকি উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুষ্ঠ তদন্তের সহিত বিচার আদৌ কি হবে নাকি কল্পিত ভাসমান থাকবে?
মাকসুদ আলম মিলন, শিক্ষার্থী,স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ,জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।