Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১, ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

তৃণমূল ভোটের হাওয়ায় কদর বড়ছে ব্যানার, ফেস্টুন ব্যবসায়ীদের

| প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৭, ১:৪৯ এএম


স্টাফ রিপোর্টার: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় দলগুলো থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা গণসংযোগে নেমেছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের সমর্থন পেতে ছুটে বেড়াচ্ছেন তারা। দলের বাইরে সাধারণ ভোটারদের মাঝে আলোচনায় থাকার নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। গ্রাম অঞ্চলে বইছে এখন নির্বাচনী হাওয়া। প্রতিটি আসনেই আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন একাধিক নেতা। রঙ্গীন ব্যানার, ফেস্টুন ব্যবসায়ীদের কাজের চাপ বেড়ে গেছে। ভিডিও রেকডিং ব্যবসাও জমে উঠেছে।
জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো বাকী ১৭ মাস। তারপরও ভোট সামনে রেখে সরগরম হয়ে উঠছে দেশ। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা  নেমে পড়েছেন গণসংযোগে। বিভিন্ন আসনে বর্তমান ও সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের পাশাপাশি প্রধান দুই দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা মাঠে সরব হয়ে উঠছেন। দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন তারা। সে সুবাদে তৃণমূলে দলগুলোর রাজনীতিতে বইতে শুরু করেছে আগাম নির্বাচনী হাওয়া। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যেও আগামী নির্বাচন নিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা। এ দিকে নির্বাচন কমিশনও (ইসি) প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনায় আগামী সোমবার সুশীলসমাজের সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি।
এদিকে তৃণমূলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূলের নেতারা দলীয় পোস্টার, ফেস্টুনে ভরিয়ে দিয়েছে গ্রাম বাংলার হাট-বাজার, মাঠঘাট। তারা নানাভাবে জনগণের সামনে নিজেদের তুলে ধরছেন। বড় দুই দলের নেতারা জেলা সফরে যাচ্ছেন। তারা দলীয় সভা-সমাবেশে নির্বাচনী বক্তৃতা দিচ্ছেন। দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করছেন এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে পদপে নিচ্ছেন। ইতঃপূর্বে রাজনৈতিক দলগুলো নীতি নির্ধারণে তৃণমূলের মতামত প্রাধান্য না দিলেও এবার ব্যতিক্রম। সরকারি আওয়ামী লীগ, এবং বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বার্তা দিচ্ছেন পদ-পদবি নয় তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতেই এবার দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে। ফলে ব্যস্ততা বেড়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের।
এদিকে ইসির রোডম্যাপ ঘোষণার পরই সুশীলসমাজ ইসির প্রতি ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির দাবি জানিয়েছেন। সুশীলসমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, খেলার জন্য যেমন সমতল মাঠ দরকার; তেমনি নির্বাচনের জন্যও সবপক্ষের সমান সুযোগ প্রয়োজন। তাই আগে থেকেই মাঠ সবার জন্য সমান করতে হবে। সরকারি আওয়ামী লীগ অনেক আগেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের সব অনুষ্ঠানেই নৌকার পক্ষে ভোট চাইছেন। এমনকি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানগুলোতেও তিনি নৌকার হয়ে ভোট চাইছেন।
এ বিষয়ে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেন, রোডম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে কমিশনের নির্বাচন আইনগত দায়িত্ব পালন। কিন্তু আমরা যে সংঘাতময় অবস্থায় আছি, তা উত্তরণে শুধু আইনগত দায়িত্ব পালন যথেষ্ঠ নয়, এজন্য প্রয়োজন নির্বাচন কমিশনের নৈতিক দায়িত্ব পালন করা। নির্বাচন কমিশন নৈতিক দায়িত্ব পালন না করলে আমরা যে সংঘাতময় অবস্থায় আছি, তা থেকে উত্তরণ সম্ভব হবে না। নৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য শুধু রোডম্যাপই যথেষ্ট নয়। নির্বাচন কমিশনকে নমনীয় ভাব পোষণ করে সব রাজনৈতিক দলের আস্থা অর্জন করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত বক্তব্য থেকে বিরত থাকার আহŸান জানান।
###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ