Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

গণতন্ত্র কি এখন পুলিশের হাতে জিম্মি?

চি ঠি প ত্র

| প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ন্যায্য অধিকার দাবির মিছিল প্রতিরোধ করতে যখন পুলিশের টিয়ার শেল আর রাবার বুলেটের সম্মুখীন হতে হয় তখন গণতন্ত্র সত্যিকার অর্থেই প্রশ্নবিদ্ধ ।স¤প্রতি শাহবাগে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার বর্বতার চিত্র তাই প্রমাণ করে।হামলায় শিক্ষার্থীরা কেবল আহত হয়েছেন তা নয়, একজন শিক্ষার্থী এমনভাবে আহত হয়েছেন যে তাঁর চোখ হারানোর আতঙ্কে রয়েছে।তাদের দাবি ছিল অনতিবিলম্বে রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা নিয়ে।বিষয়টা এমন দাঁড়িয়েছে অনতিবিলম্বে পুলিশের টিয়ার শেল আর রাবার বুলেট দিয়ে গণতন্ত্রের ন্যায্য অধিকারের দাবি ছত্রভঙ্গ করা হোক!
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল ইসলাম কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও মিরপুর বাংলা কলেজ মোট সাতটি কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আওতায় না রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়।কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করণের কারণে পরীক্ষার রুটিন ঘোষণার দায়িত্ব অবশ্যই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব।আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সা¤প্রতিক সমস্যায় শিক্ষাজীবন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় শিক্ষার্থীরা দাবি তোলো।আর শিক্ষার্থীরা সেই ন্যায্য দাবি তোলায় তাদের উপর পুলিশ টিয়ারশেল আর রাবার বুলেট দিতে প্রতিহত করে।পুলিশের ভাষ্যমতে নাগরিক দুর্ভোগ এড়াতে শিক্ষার্থীদের শাহবাগ এলাকা থেকে সরে যেতে বলার পরও তাঁরা সরে না যাওয়ায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কয়েক মাস আগে এর কাছেই সরকার–সমর্থক ছাত্রসংগঠনের সমাবেশের কারণে সারা দিন শহরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল তখন নাগরিক দুর্ভোগ কি হচ্ছিল না তবে ন্যায্য অধিকার দাবির মিছিলে কেন পুলিশ দ্ধারা নিয়ন্ত্রণ। কোথায় আমাদের বাক স্বাধীনতা? কোথায় আমাদের গণতন্ত্রাতিক অধিকার? মনে রাখা উচিত দাবি পেশ, বিক্ষোভ করা এবং সমাবেশের অধিকার নাগরিকের গণতন্ত্রাতিক অধিকার।
ইদানীং গণতন্ত্রাতিক দেশে গণতন্ত্রাতিক অধিকার মনে হচ্ছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতেই জিম্মি।গত কয়েক বছরে ছাত্রদের ন্যায্য দাবি আদায়ের মিছিলে বিক্ষোভ করার ঘটনায় এবং সমাবেশের ঘটনায় পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রভঙ্গের তোপে পড়তে হয়েছে, বীভৎস ঘটনার জম্ম হয়েছে।দেখা যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা দেশের ভবিষ্যৎ নয় যে অধিকার আদায়ে অবস্থান নেবে বরঞ্চ বীভৎসতায় পড়ায় এখন যেন তার প্রতিচ্ছবি স্বরূপ।
মাকসুদ আলম মিলন
শিক্ষার্থী,স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।

ভাষাগত সমস্যা!
বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রচুর দেশীয় মানুষ ছাড়াও অনেক বিদেশি পর্যটক যাতায়াত করেন। অন্যান্য সুবিধা থাকলেও অনেক বিদেশি ট্রেনের ভেতরে ভাষাগত সমস্যায় পড়েন। কারণ, যাঁরা ট্যুর গাইড নেন না কিংবা অফিশিয়াল কাজে যাঁদের গাইড পারমিট নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যাটি প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রথমত রেল কর্তৃপক্ষ মাইকে শুধু বাংলায় ঘোষণা দেয়। বিদেশিদের পক্ষে বোঝা সম্ভব হয় না, কোনটা কোন স্টেশন। এ ছাড়া স্টেশনের নামফলকও শুধু বাংলায় করা হয়। এটা দেখেও তাঁদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় তাঁরা কোন স্টেশনে অবস্থান করছেন। জাতি হিসেবে আমরা চরম অবিমৃষ্যকারিতার পরিচয় দিয়েই চলেছি।
এ ঘটনা তার আরেক নজির। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, এ কথা সরকার নিজেই বলছে। সেটা মনে করলে এসব ঘোষণা ও ফলকও দুই ভাষাতেই দেওয়া দরকার।
এস এম সাইদুর রহমান
পাবনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন