Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরি বিধি চ‚ড়ান্ত খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে

| প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 স্টাফ রিপোর্টার :নিম্নআদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা চূড়ান্ত খসড়া প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার কাছে হস্তান্তর করেছেন আইন মন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে চূড়ান্ত খসড়াটি হস্তান্তর করেন বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন আইন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.রেজাউল করিম। যা নিয়ে গত কয়েক মাস যাবত নির্বাহী ও বিচার বিভাগের মধ্যে এক ধরনের রেষারেষি চলছিল। শুনানিতে আপিল বিভাগ ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর মধ্যেও তীব্র যুক্তি তর্ক চলে। গেজেট প্রকাশ নিয়ে অন্তত ২২ বার সময় নেয় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। 

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতারাও সংবাদ সম্মেলন করে দ্রæত সময়ের মধ্যে নি¤œ আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা চূড়ান্ত খসড়া প্রনয়ণের জন্য সরকারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
সূত্র জানায়, সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির খাস কামড়ায় তাঁর সঙ্গে দেখা করেন আইনমন্ত্রী। বিকেল পৌনে চারটা থেকে সোয়া চারটা পর্যন্ত ওখানে ছিলেন আইনমন্ত্রী। বিধিমালার চূড়ান্ত খসড়াটি প্রধান বিচারপতিকে দিয়ে দেখবেন। সর্বশেষ চূড়ান্ত করবেন প্রেসিডেন্ট।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) সাব্বির ফয়েজ ইনকিলাবকে বলেন, আইনমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টে এসেছিলেন। এরপর তিনি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ৪০ মিনিটের মতো তিনি ছিলেন। আইনমন্ত্রী কী বিষয়ে সাক্ষাতে এসেছিলেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, যতটুকু শুনেছি অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা চূড়ান্ত খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে হস্তান্তর করেছেন মন্ত্রী মহোদয়।
গত ২৩ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষের দুই সপ্তাহের আবেদনে গেজেট প্রকাশে সরকারকে আবারও এক সপ্তাহ সময় দিয়েছিল আদালত। তার আগে গত ২০ জুলাই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, গেজেট আকারে প্রকাশের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে সরকার। শুধু গেজেট প্রকাশ নিয়ে সরকারের পক্ষে এ পর্যন্ত ২২ বার সময় নেয় সরকার।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে ঐতিহাসিক এক রায় দেয়। ওই রায়ে আপিল বিভাগ বিসিএস ক্যাডারকে সংবিধান পরিপন্থি ও বাতিল ঘোষণা করে। একইসঙ্গে জুডিশিয়াল সার্ভিসকে স্বতন্ত্র সার্ভিস ঘোষণা করা হয়। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার জন্য সরকারকে ১২ দফা নির্দেশনা দেয় আদালত। রায়ের পর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার একটি খসড়া প্রস্তুুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। সরকারের খসড়াটি ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী বিধিমালার অনুরূপ হওয়ায় তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থি বলে গত ২৮ আগাস্ট শুনানিতে জানায় আপিল বিভাগ। এরপর ওই খসড়া সংশোধন করে সুপ্রিম কোর্ট আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একইসঙ্গে তা চূড়ান্ত করে প্রতিবেদন আকারে আদালতে উপস্থাপন করতে বলা হয় আইন মন্ত্রণালয়কে। এরপর দফায় দফায় সময় দেয়া হলেও রায়ের আলোকে ওই বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ না করায় গত ৮ ডিসেম্বর দুই সচিবকে তলব করে আপিল বিভাগ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ