Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বগুড়ার শজিমেকের চিকিৎসায় সিরাজগঞ্জের সেই কাইয়ুম এখন সুস্থ

| প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : পায়ু পথে বাতাস ঢুঁকিয়ে হত্যা প্রচেষ্ঠার শিকার সিরাজগঞ্জের সেই কিশোর আব্দুল কাইয়ুম সুস্থ হয়ে উঠেছে। দু’দিন পরই বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত ১৫ জুলাই সিরাজগঞ্জ জেলার বিল গজারিয়া গ্রামের ইলিয়াস আলীর পুত্র কাইয়ুম (১২) কে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৪ জুলাই সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাটের এসিআই ফিড গোদরেজ ফিড মিলে পায়ুপথে বাসাত ঢুঁকিয়ে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। পরে সিরাগঞ্জে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাসুদ আহসান গতকাল হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এধরনের রোগী বেঁচে উঠার ইতিহাস খুবই কম। হাসপাতালের ডাক্তাররা তাদের দক্ষতা ও সেবা দিয়ে কাইয়ুম কে সুস্থ করে তুলেছে। কাইয়ুমকে ভর্তির পরই তার অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। আইসিইউ ছিল বলেই কাইয়ুমকে চিকিৎসা দিয়ে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।
সার্জারী বিভাগের প্রধান ডাঃ মোঃ আব্দুল মোত্তালেব হোসেন জানান, এ্যাবডোমেন ওপেন করার পর তার পেটে খাদ্য নালীর একাধিক স্থানে ছিদ্র ও ক্ষত পাওয়া যায়। পরে ছিদ্রগুলো জোড়া দেওয়া হয়। সাধারণত খাদ্য নালীতে একাধিক ছিদ্রযুক্ত টক্সিক রোগী সহজে বেঁচে উঠেনা। কাইয়ুম এখন সুস্থ । বগুড়া শজিমেকের চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে ওঠা কিশোর কাইয়ুম বলে , ‘এখন খুব ভাল আছি। ভালভাবে খেতে পারছি। কথা বলতে পারছি। সে আরো জানায়, ‘‘ওজাকিরুল নামের তার এক সহকর্মী জোর পূর্বক তারপায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল।’’ কাইয়ুমের মা ববিতা খাতুন জানান, গোদরেজ কোম্পানীর পক্ষ থেকে চিকিৎসা খরচ দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ