Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র : ন্যায্য দাবি

| প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাটা দেখতে কেমন যেন লাগে।ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা জীবন শেষ করতে প্রায় ২৬ থেকে ২৭ বছর লেগে যায়।তার পর কঠিন যুদ্ধ শুরু হয় সোনার হরিণ নামক চাকরি টা।সরকারি চাকরি প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর।এর মধ্যে চাকরি হলে তো সোনাই সোহাগা, না হলে বেকার জীবন নিয়ে ঘুরতে হয়।বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট মুক্ত শুরু হয়েছে।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছেন,আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ২০১৩-২০১৪ সালের অর্নাস ৪র্থ বর্ষের পরিক্ষা নিয়ে নিবে। সেশনজট মুক্তর তার একটি জলত্ব উদাহরণ।এই দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৭টি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিয়ে আসে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃপক্ষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোকে নিয়ে তাদের মনে হয় দায়িত্ব শেষ। এই সাতটি কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মহা বিপদে পড়েছে।তাদের সাথে যারা ২০১১-২০১২ সেশনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পড়েছেন তাদের রেজাল্ট আরো অনেক আগেই দিয়ে দিয়েছেন।এই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা তারা অনেক চাকরির জন্যে আবেদন করতে পারছে। কিন্তু নতুন করে যোগ হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধীনে সাতটি কলেজের শিক্ষার্থী মহা বিপদে পড়ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলো রেজাল্ট দিতে ও ভাইভা নিতে অনেক দেরি করতাছে।সেই জন্যে রেজাল্ট যাতে দ্রæত পেতে পারেন,কলেজের ছাত্ররা আন্দোলন করে থাকে শাহবাগ মোড়ে।এদিকে পুলিশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বাধা প্রদান কালে সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমানের চোখ পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের সেলের আঘাতে আহত হন।এই ছাত্রের ভবিষ্যৎতের দায় দায়িত্ব কার উপর বর্তাবে।তার ভবিষ্যৎতের কি অবস্থা হবে?
মাহফুজুর রহমান খান
চিনিতোলা, মেলান্দহ, জামালপুর।

শিক্ষক নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতা
চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর দীর্ঘদিনেও চাকরিতে যোগদান করতে না পেরে চরম হতাশার মধ্যে রয়েছেন ৩৪তম বিসিএস নন–ক্যাডার থেকে সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা। চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর ১১ মাস চলে গেছে। অথচ এসব প্রার্থীর নিয়োগের গেজেট এখনো প্রকাশ করা হয়নি। চাকরিজীবন শুরুর আগেই এই দীর্ঘসূত্রতা খুবই হতাশার। ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ৩৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর ২০১৫ সালের ২৯ আগস্ট চূড়ান্ত ফল (ক্যাডার ও নন–ক্যাডার) প্রকাশ করা হয়। উক্ত বিসিএসের নন–ক্যাডার থেকে ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে ৮৯৮ জন এবং ১৪ আগস্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ৪৫০ জনকে সুপারিশ করে পিএসসি। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় থেকে বিবেচনা করলে প্রায় সাড়ে চার বছর চলে গেছে। তাঁদের বয়স এখন ৩৫-এর কোঠায়। অথচ ওই বিসিএস থেকে বিভিন্ন পদে সুপারিশপ্রাপ্ত অন্যান্য নন–ক্যাডার অনেক আগেই নিয়োগ পেয়েছেন। অথচ বিদ্যালয়গুলোতে অনেক পদ খালি থাকলেও এ নিয়োগগুলো দীর্ঘদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ, নিয়োগ প্রত্যাশীদের অবিলম্বে নিয়োগের ব্যবস্থা করে তাঁদের বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিন।
শফকত, চট্টগ্রাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন