Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৌলতগঞ্জ প্রত্ম ঢিবি আদৌ কি সংরক্ষণ করা হবে?

| প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গা জেলার দৌলতগঞ্জের আড়াইহাজার বছরের প্রতœ ঢিবিটি শেষ পর্যন্ত সংরক্ষিত হলো না বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এ নিয়ে সাধারণ জনগণ এবং সকল পেশা মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বার বার স্থানীয় প্রশাসন এবং প্রত্মতত্ত¡ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সদ উত্তর পাওয়া যায়নি।
রাতের অন্ধকারে প্রশাসনের নাকের ডগায় কেবা-কারা ঢিবি খোঁড়াখূঁড়ি করে। খোঁড়া-খূঁড়ির পরই অধিদফতর কৌশলে ঢিবিটি এড়িয়ে যেতে থাকে। শুধু তাই নয় ঢিবির ক্ষতিগ্রস্থ অংশের বর্তমান মালিক হাবিবুরের নাম এড়িয়ে তারা অন্য ব্যক্তির নাম বার বার এ রিপোর্টারকে জানিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। এ নিয়ে স্থানীয় জনগণ অধিদফতরের উপর প্রচন্ড ক্ষুব্ধ এবং বিরক্ত। ঐ এলাকার ঢিবি সংক্রান্ত বিষয়ে অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা প্রেসরিলিজের অনুলিপি, ক্যাটালগ সরবরাহ করে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রত্মতত্ত¡ অধিদফতরের ডিজি কিছুদিন আগে মুঠোফোনে জানান ‘আস্তে আস্তে হবে।’ এর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘এ বছর তাকে আমরা টাকা দিতে পারবোনা সামনের বছর দেব। ঢিবি যেভাবে আছে সেভাবেই থাক।’ যা পত্রপত্রিকায় ও ছাপা হয়েছে। বিভাগীয় প্রধান আফরোজা খানম মিতা গত বছর মে মাসে বলে ছিলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে এখানে ‘মেশিন বসবে এবং খনন হবে।’ কার্যত কিছুই হলো না। উল্লেখ্য দু’একজন কর্মকর্তা ঢিবির বিষয়ে নিবির আলাপের প্রস্তাব দেয়। জানা গেছে ঢিবি গ্রাসের পেছনে রয়েছে প্রভাবশালী একটি চক্র। বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রচুর টাকা ঢালা হচ্ছে মিডিয়াসহ বিভিন্ন সেক্টরে ঢিবি গ্রাসের জন্য। ঢিবি নিয়ে এসব কুটকৌশল নানা মহলে বড় ধরনের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা এখন মনে করে ঢিবি নিয়ে বড় ধরনের দূর্নীতি হয়েছে এবং এর জন্য শক্তিশালী একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ