পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরগুনার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারিক সালমনের প্রতি আইনি কোনো ব্যত্যয় হয়েছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত একজন সচিবের নেতৃত্বে সদস্য হিসেবে থাকবেন জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একজন করে প্রতিনিধি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ কথা জানান।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, ওই ছবির ঘটনায় বরগুনার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার (তৎকালীন) যে পত্র দিয়েছিলেন, সেটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তারিক সালমনের বিরুদ্ধে কোনো দোষ না পাওয়ায় সেটি খারিজ করে নথিজাত করা হয় বলে জানান মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
জেলা প্রশাসন এবং বিভাগীয় কমিশনারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, গাফিলতি আছে কি না, সেটা দেখা হচ্ছে। বিষয়টি প্রমাণিত হলে এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।
‘বিকৃত’ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি (পঞ্চম শ্রেণির এক শিশুর আঁকা ছবি) ছাপানোর অভিযোগে বরগুনার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়। ওই মামলায় কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় জনপ্রশাসনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। মামলার বাদী বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহকে গত শুক্রবার দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ।
স্বাধীনতা দিবসের আমন্ত্রণপত্রের এ ছবির ঘটনা নিয়ে আদালতের আগে গত এপ্রিলে প্রশাসন ক্যাডারের দুই কর্মকর্তা বরিশালের তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস এবং বর্তমান জেলা প্রশাসক গাজী মো. সাইফুজ্জামান গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এজন্য প্রথমে তারিক সালমনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন বরিশালের জেলা প্রশাসক। তারিক নোটিশের জবাবও দেন। পরে এই জবাব পাঠানো হয় বিভাগীয় কমিশনারের কাছে। কিন্তু বিভাগীয় কমিশনার নোটিশ সন্তোষজনক নয় মর্মে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সেটি মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে পাঠান।
গত ৩ এপ্রিল বরিশালের জেলা প্রশাসক গাজী মো. সাইফুজ্জামান গাজী তারিক সালমনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। আর বিভাগীয় কমিশনার ১৮ এপ্রিল মন্ত্রীপরিষদ বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পত্র দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।