Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকার শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে -প্রধানমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভবিষ্যত প্রজন্ম যেন বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের গড়ে তোলার সুযোগ পায় সেজন্য তাঁর সরকার শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বছর এইচএসসি’র রেজাল্ট একটু খারাপ হলেও আমরা শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক করে গড়ে তুলে এর গুণগত মানের দিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রয়োগ করেছি। সকল বিষয়ের প্রতি বিশেষ করে উত্তরপত্র মূল্যায়ণে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়ে উঠতে পারে। তিনি গতকাল (রোববার) সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এইচএসসি, আলিম এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফল গ্রহণকালে একথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ১০টি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানকে সঙ্গে করে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই ফলাফল হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রী পরীক্ষায় পাস-ফেল নিয়ে না ভেবে শিক্ষার মান বাড়াতে নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে এবং এই বয়সে তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সঠিক গাইডলাইন দেয়া।
উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার কমার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ হওয়াটাই মুখ্য, পাসের হার নয়। মূল্যায়ন পদ্ধতি পরিবর্তনের কারণে এবার পাসের হার কমলেও আগামীতে এ অবস্থা কাটিয়ে ওঠা যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষায় এবার পাস করেছে ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ শিক্ষার্থী; জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ; ৫৮ হাজার ২৭৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
প্রকাশিত ফল হাতে পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার রেজাল্ট হয়ত পার্সেন্টেজের দিক থেকে কিছুটা কম হতে পারে। যেহেতু পড়াশোনার গুণগত মানের দিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে পরীক্ষা পদ্ধতি আরও আধুনিক করা হয়েছে তাছাড়া খাতা দেখাসহ সব দিকে ভালোভাবে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। আমি আশা করি, এই অবস্থা কাটিয়ে উঠব। সার্বিকভাবে এই ফলাফলকে ‘যথেষ্ট ভাল’ হিসেবে বর্ণনা করে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন এবং শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানান সরকারপ্রধান। আর যারা কৃতকার্য হতে পারেনি, তাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কত পার্সেন্ট পাস করল, কত পার্সেন্ট পাস করলে না; সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। পড়াশোনা করবে, পাস করার জন্য প্রত্যেক ছেলেমেয়ের মধ্যে আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকতে হবে। ভালোভাবে পড়তে হবে। পড়াশোনায় মন দিতে হবে। প্রতিদিনের কোন সময়টা পড়াশোনার জন্য ভালো; সে সময়টা বেছে নিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, অভিভাবকদের অনুরোধ করব ছেলেমেয়েদের সমস্যাগুলো উপলব্ধি করা, তাদেরকে আরও একটু বেশি সময় দেওয়া। সন্তানদের প্রতি আরও বেশি আন্তরিক হতে হবে; তাদের কথাগুলো তারা যেন বন্ধুর মতো বাবা-মাকে বলতে পারে, সেরকম একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ করব। শেখ হাসিনা বলেন, কোনোভাবেই যেন ছেলেমেয়ে মাদকাসক্তি বা জঙ্গিবাদ- এসব পথে না যায়। নিজের ছেলেমেয়ে কার সাথে মিশছে, কোথায় যাচ্ছে, কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকছে কিনা; এবিষয়গুলোর দিকে নজর দিতে হবে। অভিভাবকরা সন্তানদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করলে তারা কখনো বিপথে যাবে না বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হতে হবে, ভবিষ্যতে এই দেশের দায়িত্ব তো এই ছেলেমেয়েদেরই নিতে হবে। আমরা আর কত দিন, আগামী দিনের জন্য তাদের তৈরি করতে হবে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এবার মাত্র ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ পাস করার বিষয়ে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে রেজাল্টে দেখলাম; একটা বোর্ডের অবস্থা খুবই খারাপ। এত বড়বড় অফিসার ওখান থেকে আসে। কুমিল্লার এই দুরবস্থা কেন? আমাদের মুখ্য সচিব থেকে শুরু করে সবই তো কুমিল্লার। এরআগে কেবিনেট সেক্রেটারি ছিলেন কুমিল্লার। পরে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে লালমনিরহাট এবং শরিয়তপুরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ