পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘদিন থেকে ঝুলে থাকা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে আগামী বছরের শেষ নাগাদ বাড়িঘর তৈরি কাজ শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
গতকাল শুক্রবার কুড়িল-পূর্বাচল ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সরকার ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সেখানে প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করবে। সেখানে যারা প্লট পেয়েছেন তারা ঘরবাড়ি করতে পারবেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি রাজউকের নতুন চেয়ারম্যানকে টার্গেট দিয়েছি, ২০১৮ সালের ভেতরে আমাদের লেক প্রকল্পগুলো এগুলো যে কোনোভাবে শেষ করা সেজন্যই আমরা কাজ করছি। আইকনিক টাওয়ারসহ কয়েকটি বহুতল ভবনের জন্য এ প্রকল্পে ১০০ একর জমি রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, এটা অ্যাওয়ার্ড করব উইদিন থ্রি মান্থস। এর মধ্যে যদি অ্যাওয়ার্ড করি, তাহলে এটার কাজ শুরু হয়ে যাবে। ছয় মাস সময় দিয়েছি কোথায় কত তলা ভবন হবে ঠিক করার জন্য। ১০০ প্রশস্ত খালের কাজও ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ হবে। এই প্রকল্প সেনাবাহিনীর দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারিং টিম বাস্তবায়ন করছে। সেজন্য আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি, ২০১৮ সালের ভেতরে আমরা এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারব। পূর্তমন্ত্রী বলেন, হাতিরঝিলের পরে এটি হবে ঢাকার আরেকটি নান্দনিক এলাকা। এখানে মানুষ আসবে, ঘুরবে, দেখবে। কুড়িল-পূর্বাচল খালের কাজ শেষ হলে ঢাকার পানিবদ্ধতাও কমবে। এই খাল খনন হবে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের দুই পাশে। দু’পাশেই সাড়ে ছয় মিটার সার্ভিস সড়ক থাকবে। এরপর তিন মিটার প্রশস্ত হাঁটার পথের পর থাকবে ৩০ মিটার খাল। খালের পর আবার দুই মিটার হাঁটার পথ ও ছয় মিটার সার্ভিস রোড। সবার শেষে থাকবে দেড় মিটার করে হাঁটার পথ। প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার খাল, প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়ক, ৩৯ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, চারটি ইউলুপ, খালের ওপর ১৩টি সেতু, চারটি এক্সপ্রেসওয়ে ফুটওভারব্রিজ এবং পাঁচটি সøুইসগেট নির্মাণ করা হবে। এছাড়া একটি পাম্প হাউজ, ১২টি ওয়াটার বাস স্টপ, ৪ দশমিক ৭ কিলোমিটার স্টর্ম স্যুয়ার লাইন নির্মাণ করার কথাও পরিকল্পনায় রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও গাজীপুরের কালীগঞ্জ এলাকায় মোট ছয় হাজার ২৭৭ একর জমিতে পূর্বাচল নতুন শহর গড়ে তুলতে ১৯৯৬ সালে প্রকল্প নেয়া হলেও জমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়নের কাজেই ২০০৯ সাল পর্যন্ত লেগে যায়। শুরুতে তিন হাজার ৩১১ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও তা বাড়তে বাড়তে এখন ৭ হাজার ৭৮২ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৫ হাজার ১৬টি আবাসিক প্লটের পাশাপাশি পূর্বাচলে ৬০ হাজার আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। সেখানেই ১৪২ তলা আইকনিক টাওয়ার নির্মাণের স্বপ্নের কথা বলে আসছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রকল্পের বিভিন্ন ধরনের কাজের অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরে গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন গতবছর এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ২০১৭ সালেই পূর্বাচলের কাজ শেষ হবে বলে তারা আশা করছেন।
মন্ত্রীর পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজউক চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার আনিস, বুয়েটের অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, রাজউকের প্রকল্প পরিচালক নুরুল ইসলাম, খাল খনন প্রকল্পের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।