পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720201753](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাত ১২ শ’ জনকে জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় একটি মামলা (নং২৬) দায়ের করেছে পুলিশ।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার জানান, শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তায় গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। এতে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে অজ্ঞাত ১২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় অজ্ঞাত এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাজহার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা, পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা, হত্যাচেষ্টা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর দায়ে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল থেকে আটক ১৩ জনকে গতকাল ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । পুলিশ জানায়,সামনে তাদের পরীক্ষা। তাই মানবিক বিষয় বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে এ মামলায় আসামি করা হবে।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার সকালে সাত দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে ঢাবির অধিভুক্ত সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান গুরুতর আহত হন।
জানা যায়,রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তাায় অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়া সাতটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। কলেজগুলো হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল ইসলাম কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও মিরপুর বাংলা কলেজ। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এ সময় তাঁদের লাঠিপেটা করা হয়। এ সময় পুলিশের কাঁদানে গ্যাস বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর। একজন ঢাকা মেডিক্যালে ও অন্যজন আগারগাঁও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই ছাত্রের চোখ ফেটে গেছে।ওই দিন ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জনকে আটক করে শাহবাগ থানাহাজতে রাখা হয়। পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। শাহবাগ থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।