Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাহাড় ধসের আশঙ্কা : ঝুঁকিতে লাখো মানুষ

বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে

| প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম ব্যুরো : সক্রিয় মৌসুমি বায়ুমালার প্রভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ সূত্র জানায়, আগামী দু’দিনেও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় টেকনাফে ১৩৮ মিলিমিটার। আর চট্টগ্রামে ১১১ মিমি, ফেনীতে ১২৩ মিমি। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমি বায়ুর একটি বলয় তৈরি হয়ে আছে ভারতের রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল অতিক্রম করে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে বিরাজ করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয়, উত্তর বঙ্গোপসগরে জোরালো অবস্থায় রয়েছে।
আজ (শনিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতিতে জানা যায়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর সন্নিহিত বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সাগর রয়েছে উত্তাল। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এতে করে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভ‚মিধসের আশঙ্কা রয়েছে। ভারী বর্ষণের মধ্যে গতকাল ভোরে সীতাকুÐের জঙ্গল সলিমপুরে পাহাড়ের ঢালুতে ঝুঁকিপূর্ণ বসতঘরে ধস নামে। এতে একই পরিবারের ৫ জন নিহত, অপর ৫ জন আহত হয়। এখনও বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড়-টিলা কেটে-খুঁড়ে তৈরি অসংখ্য ঝুঁকিপূর্ণ বসতঘরে লাখো নি¤œআয়ের মানুষ বসবাস করছে। তাদেরকে প্রতিবছর বর্ষা মওসুম এলেই নিরাপদ স্থানে সরানোর জন্য মাঝেমধ্যে প্রশাসনের ‘অভিযান’ চলে। ফের আগের জায়গায় তারা ফিরে আসে। অথচ মাথাগোঁজার ঠাঁই হারিয়ে শহরে ভিড় করা এসব হতদরিদ্র মানুষের পুনর্বাসনের মাধ্যমে এর স্থায়ী সমাধানের কোন উদ্যোগ নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ