পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানিতে মোট আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমেছে। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি পোশাক খাত ও বেশ কিছু প্রচলিত পণ্যের রপ্তানি আয় কমার করণেই। তবে বাংলাদেশের প্রচলিত খাতের রপ্তানি আয়ে ধস নামলেও এ বছর অপ্রচলিত খাতের আয় রপ্তানি আয় বেড়েছে।
অর্থনীতিবিদরা ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের প্রধান প্রধান রপ্তানিযোগ্য পণ্যগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার মতো অনেক দেশ তৈরি হয়েছে, যে কারণে ওই সব রপ্তানির উপর প্রভাব কমছে। এ ছাড়া বৈশ্বিক মন্দা, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে রদবদল এবং নানাবিধ অস্থিতিশীলতার কারণেও অনেক প্রচলিত পণ্যের রপ্তানি কমছে। তবে প্রচলিত খাতগুলোতে রপ্তানি কমলেও নতুন অনেক খাত তৈরি হয়েছে; নতুন নতুন বাজার তৈরি হচ্ছে, পণ্য রপ্তানি বাড়ছে । নতুন করে রপ্তানি হচ্ছে এমন পণ্যের প্রতি মনযোগ দেওয়ার পরার্মশ দিয়েছেন তারা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৭০০ কোটি মার্কিন ডলার আর আয় হয়েছে ৩৪৮৩ কোটি ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২১৭ কোটি ডলার কম। গত বছর মোট ৬১টি পণ্যের মধ্যে ৩৮টি পণ্যেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। যে কয়টিতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে, সে গুলোর অধিকাংশই অপ্রচলিত পণ্য। কিন্তু প্রচলিত রপ্তানিযোগ্য খাতে রপ্তানি আগের তুলনায় অনেক কমেছে।
ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, রপ্তানিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে পোশাক খাত। সেই পোশাক খাতেই লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি কমেছে ২২ দশমিক ৩৮ শতাংশ। একইভাবে হিমায়িত খাদ্যে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি কমেছে ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ। পাটজাতীয় পণ্যের রপ্তানি কমেছে দশমিক ১৬ শতাংশ।
এদিকে রপ্তানি আয়ে এখন নতুন করে অনেক পণ্য যোগ হচ্ছে। যেসব পণ্য রপ্তানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এর মধ্যে চলতি বছর মশলা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। রপ্তানি হয়েছে ৩ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি। একইভাবে শুকনো খাবারে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। রপ্তানি হয়েছে ১০ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি বেশি হয়েছে ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
এছাড়া সিমেন্ট, অপরিশোধিত লবণ ও পাথরে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ডলার। রপ্তানি হয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি বেশি হয়েছে ৪৩৯ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া হস্তশিল্প খাতে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ কোটি ১০ লাখ ডলার; রপ্তানি হয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় যা ৩১ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি।
পশম ও পশমি পণ্যে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ডলার; রপ্তানি হয়েছে ৩ লাখ ডলার। পরচুলা ও মানুষের চুলের ক্ষেত্রে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ কোটি ৯০ লাখ ডলার। রপ্তানি হয়েছে ১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। একইভাবে কাচ ও কাচজাতীয় পণ্যে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ লাখ ডলার; রপ্তানি হয়েছে ২১ কোটি ডলার। এখানে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি বেশি হয়েছে ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি। ইস্পাত খাতে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ কোটি ৮৯ লাখ ডলার; রপ্তানি হয়েছে ৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি বেশি হয়েছে ২০ দশমিক ৩১ শতাংশ। তামার তারের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার; রপ্তানি হয়েছে ৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি বেশি হয়েছে ৪৪ লাখ ৩৬ ডলার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।